আসাদুজ্জামান খান কামালের অবৈধ টাকা আগষ্টিনের সুইচ ব্যাংকে!
নিজস্ব সংবাদদাতা
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কারওয়ান বাজারে মাসে দেড় কোটি টাকা চাঁদা আদায়,পুলিশ নিয়োগ,বদলিতে ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর দুদক ও প্রশাসন নড়েচড়ে বসেন। আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বাকিরা হলেন আসাদুজ্জামানের সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু। ১৫ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো: আকতারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপপরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে আসাদুজ্জামান খান কামালের অবৈধ অর্থ কোথায় কোথায় জমা আছে-এমন অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তার ঘনিষ্ঠ সহোচর আগষ্টিন পিউরিফিকেশন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের সুইস ব্যাংক খ্যাত দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর নাম। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করছে, আসাদুজ্জামান খান কামালের অবৈধভাবে উপার্জিত হাজার কোটি টাকা দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এ জমা রয়েছে। সাথে তেজগাঁও সার্কেল ও গাজীপুর পুলিশের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার অবৈধ অর্থ এখানে আমানত আকারে জমা রয়েছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। আগষ্টিন পিউরিফিকেশন আসাদুজ্জামান খান কামালের খুবই ঘনিষ্ঠ ও বিশ^স্তজন। আসাদুজ্জামান খান কামালের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে তিনি দু’টি সমবায় অবৈধভাবে দখলে রেখে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে। তার পৃষ্ঠপোষকতায় আইন আদালতকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন।তার অন্যায়কে সমর্থন না করায় খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের ও সমবায় অঙ্গনের অনেকের ওপর চালিয়েছেন অত্যাচারের স্টীম রোলার। আসাদুজ্জামান খান কামালের আশির্বাদ থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুলেননি। আগষ্টিন পিউরিফিকেশন সমবায় অঙ্গনের মূর্তিমান আতংক।
সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হত্যা ও নির্যাতনে আসাদুজ্জামান খান কামালের অন্যতম সহযোগী ছিলেন আগষ্টিন। আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষ্য নিয়ে আগষ্টিন পিউরিফিকেশন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন বলে অপর একটি সূত্র দাবি করেছে। মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর প্রধান কার্যালয়ে আসাদুজ্জামান খান কামালের ম্যুরাল স্থাপন করেছিলেন আগষ্টিন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আবার ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলেছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামালের অবৈধ অর্থ উদ্ধারের জন্যে;আগষ্টিন পিউরিফিকেশন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের সুইস ব্যাংক খ্যাত দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এ অভিযান পরিচালনার জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশন,বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট,এনএসআই,ডিজিএফআই এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন খ্রীষ্টান সম্প্রদায় ও সচেতন সমবায়ীগণ।
উল্লেখ্য, মুসলিম সহ অন্যান্য অখ্রীষ্টান সরকারি কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে উপার্জিত কালো টাকা চড়া সুদে আমানত রাখছেন।এমসিসিএইচএসএল এর আমানতের বিপরীতে সুদের হার ব্যাংকের প্রচলিত সুদের হারের দ্বিগুণেরও বেশি। ১৫% পর্যন্ত সুদ দেয়া হয়। সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে নিবন্ধকের সার্কুলার ও ব্যাংকের প্রচলিত সুদের হারের সাথে সঙ্গতি রেখে আমানতের সুদের হার নির্ধারন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সুদের হার বেশি,আমানতের বিপরীতে ব্যাংকের মত ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হয় না,আবার খ্রীষ্টান প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখলে কেউ জানতে পারবে না-এসব কারনে পুলিশ কর্মকর্তা, সমবায় অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের উপার্জিত কালো টাকা এখানে আমানত রাখা নিরাপদ মনে করে।এক্ষেত্রে খ্রীষ্টান সদস্যদের আইডি ব্যবহার করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় অখ্রীষ্টানদের আমানত গ্রহন করা হয়।খ্রীষ্টানদের সদস্য হওয়া বা আমানত রাখার ক্ষেত্রে বিবাহিতদের ক্ষেত্রে গীর্জার বিবাহ সনদ এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে গীর্জার বাপতিস্ম সনদ দাখিল করতে হয়। আর মুসলিম সহ অন্যান্য অখ্রীষ্টান আমানতকারিদের নামে খ্রীষ্টান হওয়ার ভুয়া এফিডেভিট তৈরি করে ডকুমেন্টস হিসেবে অফিসে সংরক্ষিত করা হয়। কেবল কালো টাকা আমানত রাখার জন্যে কাগজ পত্রে তারা খ্রীষ্টান সাজার অভিনব পন্থা অবলম্বন করে। নিরাপদে কালো টাকা রাখার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এমসিসিএইচএসএল বাংলাদেশের ”সুইচ ব্যাংক” আখ্যা পেয়েছে।