বিনা উদ্ভাবিত স্বল্পজীবনকালবিশিষ্ট উচ্চফলনশীল আমন জাত বিনাধান-১৬ আগাম বোরো জাত হিসেবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা কর্তৃক কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নীচু জমি ও হাওড় এলাকায় পরীক্ষণ ও কৃষকের জমিতে প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়। তাছাড়া, কৃষকরা স্ব-প্রনোদিত হয়ে এ জাতটি বোরো মৌসুমে চাষ করে আসছে। চলতি বোরো মৌসুমে বিনা উপকেন্দ্র গবেষণা পরীক্ষণ মাঠ ও কৃষকের জমিতে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে মাত্র ১২৫-১২৭ দিনে ফসল কর্তন করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উধ্বর্তন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কৃষকের উপস্থিতিতে নমুনা শস্য কর্তন করে গড় ফলন ৭.৬৭ টন/হেক্টর পাওয়া যায় এবং জাতটি রোগবালাই সহনশীল ও চিটা নাই বললেই চলে। জাতটি আগাম বিধায় এপ্রিল মাসের গ্রীষ্মকালীন গরম হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বেই পরাগায়ন সম্পন্ন হওয়ার কারণে উচ্চ তাপমাত্রা হতে রক্ষা পায়। জাতটি উচ্চফলনশীল ও আগাম পরিপক্ক হওয়ার কারণে হাওর ও নীচু এলাকার হঠাৎ বন্যার পানিতে ফসল নষ্ট হওয়ার পূর্বেই কর্তন করা সম্ভব।
শস্য কর্তনে ভার্চুয়ালী উপস্থিত ছিলেন ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, মহাপরিচালক, বিনা এবং স্ব-শরীরে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মিজানুর রহমান, উপ-পরিচালক, ডিএই, কুমিল্লা এবং বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান সহ অন্যন্য বিজ্ঞানীবৃন্দ। ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বোরো মৌসুমে এ ধরনের আগাম জাত আকস্মিক বন্যা ও ঝড় বৃষ্টির হাত হতে রক্ষা পাবে এবং বোরোর উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া একই জমিতে
আউশ উৎপাদন সহজ হবে। মহাপরিচালক মহোদয় আরো বলেন, জাতটি যদিও আমন মৌসুমের কিন্তু আলোক অসংবেদনশীল হওয়ার কারণে কৃষক পর্যায়ে জাতটি ৩-৪ বছর যাবত বোরো মৌসুমে আবাদ হচ্ছে এবং তাতে তারা জাতটি আগাম কর্তন করতে পারছে। শীঘ্রই এ জাতটি বোরো মৌসুমে ছাড়করণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।