কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ৪০১ স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসেছে
হুমায়ুন কবির চৌধুরী
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কুমিল্লা জেলায় ব্যাপকভাবে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়েছে। জেলার ১৭ উপজেলায় মোট ৪০১টি স্থানে পশুর হাট বসার মাধ্যমে মসৃণ ও নিরাপদ কোরবানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বড় হাটগুলো প্রধানত বরুড়া, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, লাকসাম, চান্দিনা, নাঙ্গলকোট, দাউদকান্দি, চৌদ্দগ্রাম ও সদর উপজেলায় বসেছে। কুমিল্লা শহরে বড় পশুর হাটের নামগুলো হলো চান্দিনা বাজার, চৌয়ারা বাজার, হোমনা ঘাড়মোড়া, লালমাইয়ের চন্ডীমুড়া, নবাবপুর ও সুয়াগাজী বাজার।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, মোট গরুর সংখ্যা ১ লাখ ৯১ হাজার ৮২টি, মহিষ ৬০৮টি, ছাগল ৫৬ হাজার ৯৪০টি ও ভেড়ার সংখ্যা ১১ হাজার ৮০৫টি। এ বছর পশুর সরবরাহ পর্যাপ্ত হওয়ায় চাহিদা পূরণে কোনো প্রকার ঝামেলা হবে না বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে প্রতিটি হাটে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম, সিসি ক্যামেরা, ব্যাংক বুথ ও জাল টাকা শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাট এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে।
বিজিবি-১০ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, সীমান্তে বিশেষ নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে যাতে কোনো অবৈধ পশু দেশে প্রবেশ করতে না পারে। ভারতের পশু অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কোরবানির পশুর হাটগুলো ঈদের দিনসহ প্রায় ৫ থেকে ৭ দিন চলবে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা নিশ্চিন্তে নিরাপদ পরিবেশে ব্যবসা করতে পারবেন বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।