মোঃ মাহাবুব আলম,বিশেষ প্রতিনিধি। ঔষধ মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীনবরক্ষাকারী পন্য দেশের একম কোন পরিবার পাওয়া যাবেনা যে পরিবারে কমবেশি প্রতিদিন কোননা কোনরকম ঔষধের প্রয়োজন হয়না। প্রতিদিন ঔষধের প্রয়োজন হলেও পুরো বাক্সের ঔষধের খুচরা মূল্য লেখা থাকে কিন্তু প্রতিটি পাতায় খুচরা মূল্য লেখা থাকেনা এবং ঔষধ নিত্য প্রয়োজনী জরুরি পণ্য হলেও চালডালের সাধারণ মানুষেরও দুএকটা ছাড়া ঔষধের দাম তেমনি জানা থাকেনা। সেই সুবাদে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঔষধের মূূল্য নিচ্ছে।আমি পুরো চট্টগ্রামের কথা বলবোনা শুধুই চট্টগ্রাম সদরঘাট এলাকায় যে কয়েকটি ঔষধের দোকান আছে এগুলোর দাম ব্যবধান তুলে ধরলাম, সদরঘাট মোড়ে সদর ফার্মেসিতে যে গ্যাস্ট্রিকের ইনসাফটা কোম্পানির ইসোনিক্স-৪০ এমজি দশটি ট্যাবলেটের মূল্য ৭০ টাকা, হোয়াইট হর্স কোম্পানির ডমিনল-১০ দশটি ট্যাবলেট এর খুচরা মূল্য ১৫ টাকা,সেই একই ঔষধ একশোগজ ভিতরে নালাপাড়া মনিকা ফার্মেসি ও লতা ফার্মেসিতে ইসোনিক্স-৪০ দশটি ১০০ টাকা আর ডমিনল-১০ দশটি ৩০ টাকা মূল্য বিক্রয় করা হচ্ছে। একশোগজ ব্যবধানে একটিতে একপাতা ৩০ টাকা বেশি,আর একটিতে ১৫ টাকা বেশি।এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ঔষধের দোকানে রয়েছে অহরহ ভেজাল নকল ঔষধের ছড়াছড়ি। একই রকম বাক্স একই রকম পাতা দেখে বুঝার কোন উপায় নেই কোন নকল কোনটা আসল!?এই ব্যাপারে সদরঘাট এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সম্মানীত সভাপতি ও সদর ফার্মেসির মালিক জনাব ইলিয়াস সাহেবের সাথে কথা হয় আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মোঃহাসানুর জামান বাবু সঙ্গে, উনি প্রথমে ব্যাপারটি তেমন গুরুত্ব না দিলেও পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন- একই ঔষধের দামের এতো ব্যবধান অবশ্যই বেআইনিও সম্পূর্ণ অন্যায় কাজ।আমি এদের অনেক বার সতর্ক করেছি তারপরও এরা অতি মোনাফা লোভী আপনারা চাইলে তথ্য প্রমাণসহ আইনী ব্যবস্হা নিতে পাড়ের। এই সময় উপস্থিত কয়েকজন ক্রেতারও একই অভিযোগ। ঐ ফার্মেসি গুলোতে সবসময় গলাকাটা ব্যবসা করেন এবং নকল ভেজাল সহ এমন কোন কাজ নেই এরা করেনা। বিশেষ করে পরিচিত কোন অশিক্ষিত কাস্টমার পেলেই এরা নকল ঔষধ দিতে এক সেকেন্ড দেরি করেননা। আমরা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মহোদয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ভোক্তা অধিকার আইনের কর্মরত কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি যাতে মানুষের এই দূুর্ভোগের সময় হঠাৎ করেই একদিন এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আকস্মিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তল্লাশির ব্যবস্হা করা হয়।