জামালপুরে কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার অভিযোগ-
মোঃ বিলাত আলী,
বিশেষ প্রতিনিধি জামালপুর।
জামালপুরে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্বসাৎ ও প্রতারনার অভিযোগ এনে সংবাদ সন্মেলন করেছে মাহবুব আলম ও মুক্তা খানম নামে দুই ভুক্তভোগি।
রবিবার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সন্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সন্মেলনে অভিযোগ করে মাহবুব আলম বলেন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ আমার কাছ থেকে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে দুই দফায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০১৯ সালে জায়গা কিনে দেয়ার নামে ৫০ লাখ ও ২০২২ সালে এলজিইডিতে ঠিকাদারি ব্যবসার নামে ৫৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সে একজন আদম ব্যবসায়ী। বিদেশে লোক না পাঠিয়ে টাকা আত্বসাৎ করেছে। এখন টাকা চাইতে গেলে নানা হয়রানীসহ প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার মতো আরো বহু লোকজনের সাথে বিদেশে লোক পাঠানোর প্রতারনা করেছে। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বালু লোটপাট, মানব পাচার, নারী কেলেংকারীসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে এই কৃষকলীগ নেতা।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত অপর ভুক্তভোগি মুক্তা খানমকেও বিদেশে পাঠানোর নামে ওই কৃষকলীগ নেতা তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন টাকা চাইতে গেলে নানা হুমকী ধামকী করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে রবিবার বিকালে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পাল্টা সংবাদ সন্মেলন করেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ।
তিনি সংবাদ সন্মেলনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মাহবুব আলম ও মুক্তা খানমের আনা অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, মাহবুব আলমই মানবপাচারকারী, মিথ্যাবাদী, চরিত্রহীন, মামলাবাজ ও প্রতারক বলে দাবি করেন।