নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গাজীপুর টঙ্গী দত্ত পাড়া এলাকার সুমি (৩৫) নামে এক নারীর সাথে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ২বছর সংসার করার পর এখন স্ত্রী হিসাবে স্বকৃতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন সাতাইশ এলাকার শাহাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে আবুল হাসেম মোল্লার( ৫২)বিরুদ্ধে।
আইনি সহায়তা পেতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ভোক্তভোগি নারী, অভিযোগে উল্লেখ করে তিনি বলেন বিগত ৬ বছর পূর্বে সাতাইশ এলাকার শাহাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে আবুল হাসেম মোল্লার( ৫২) সাথে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিননামা ৩ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ হওয়ার পর আমার ঠিকানায় বসবাস করতেছিলাম।
বিবাদি আমাকে জোর পূর্বক তার অফিসে নিয়ে আমার নিকট হতে কাগজে সাক্ষ্যর নেয়।পরে বিবাদী আমাকে কোন রকম কাবিনের কাগজ দেখাতে না পারায়,আমি তার সাথে চার বছর সংসার করি নাই। পরে দুই বছর যাবত সংসার করিলেও বিবাদি তুচ্ছ বিষয়ে আমাকে মানসিক ও শারীরিক টর্চার করে। বিবাদী আমার গর্ভের একটি অনাগত সন্তান নষ্ট করে। এবং তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিকট সালিশ করিয়া সমাধানের চেষ্টা করিলেও বিবাদী কারও কোন কথা মানে নাই। গত আট মাস পূর্বে তার অত্যচারে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে ২ নং বিবাদী হাতেম মাষ্টার সমাধানের দায়িত্ব নিয়ে সালিশে বসিয়া ১ নং বিবাদীর সামনে গায়ে হাত দিয়ে আমার শ্লীলতাহানি করিলেও ১ নং বিবাদী কোন কর্নপাত করেনি। পরবর্তী আরও দুইদিন ১ নং বিবাদীর সহোযোগিতায় ২ নং বিবাদী আমার সহিত খারাপ আচরণ করে।পরবর্তী গত ৫/৩/২০২৩ ইং ১নং বিবাদীর নিকট কাবিন নামার কাগজ চাইলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করিয়া এলোপাতাড়ি মারপিট করে। সে জানায় আমি তাহার স্ত্রী নয়।এই কথা শোনার পর আমি বিভিন্ন কাজী অফিসে যোগাযোগ করে খোঁজে বিয়ের কাবিন নামা পাইনি। আমার বিশ্বাস সে আমার সাথে প্রতারণা করে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আমার সহিত সংসার করে। তাই আমি নিরুপায় হয়ে থানায় টঙ্গী পূর্ব থানায় আইনি সহযোগিতা পেতে অভিযোগ দায়ের করি,
এ বিষয়ে ১ বিবাদী হাসেম মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এটা আমাদের পারিবারিক বিষয় মামলা হলে কোর্টে বুঝবো,আর থানায় যে অভিযোগ করেছে এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা।
২ নং বিবাদী হাতেম মাষ্টার এর সাথে মুঠোফোনে শ্লীলতাহানির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন
শ্লীলতাহানি করলে করলাম অসুবিধা কি।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন -অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।