• বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গাজীপুরে শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিনের মাজার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ মেলান্দহে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত দেবিদ্বারে মসজিদে মসজিদে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়া ও বন্যার্তদের জন্য দোয়া মাহফিল ১ হাজার টাকার নোট বাতিল প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি আসাদুজ্জামান খান কামালের অবৈধ টাকা আগষ্টিনের সুইচ ব্যাংকে! বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠিত। তেজগাঁও কলেজে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু! বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারাতে বসেছেন দিনমজুর আরিফ পুলিশহীন নগরী, সিলেটে খুলছে সব কিছু, কাটছে ভয় আতষ্কে আত্মগোপনে কর্ণফুলী আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরী

পিত্তথলিতে পাথর এড়াতে কী করবেন

71Times / ৯৪৮ Time View
Update : রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১

নিউজ ডেস্ক : পিত্তথলিতে পাথর কোনো ভয়ের বিষয় নয়। পিত্তথলি পাথর জমা বা গলব্লাডারে স্টোন হওয়া পরিচিত একটি সমস্যা। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটা সহজে ধরাই পড়ে না। কখনো দীর্ঘদিন ধরে রোগীর পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হয়, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ চলতে থাকে, এমনকি খানিকটা ব্যথা কমেও তাতে। তাই পরীক্ষা করা হয় না। আবার কারও ক্ষেত্রে পোলাও, বিরিয়ানি বা ভাজাপোড়া বেশি তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় তীব্র পেটব্যথা। এ ক্ষেত্রেও ব্যথা হয় পেটের ওপরের অংশে, মূলত ডান দিকে, ছড়িয়ে যেতে পারে পিঠের ওপরের দিকেও। বমি বমি ভাব থাকতে পারে, বমিও হতে পারে। হালকা জ্বর থাকতে পারে। প্রথম দিকে কিছু ওষুধ সেবনে ব্যথা ভালো হয়ে গেলেও পরে আর সেগুলোতে কাজ হচ্ছে না বলে মনে হয়। অনেক সময়ে পিত্তথলিতে পাথর জমলে সেখান থেকে হেপাটাইটিসেরও সংক্রমণ হয়। তাই পেটে ব্যথার সঙ্গে যদি হেপাটাইটিস ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রক্তে ক্যালসিয়াম বাড়লেও পিত্তথলিতে পাথর জমতে পারে।

পিত্তথলিতে পাথর জমা এড়াতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

চিনির কোনো উপকার নেই, বরং অপকার আছে বিস্তর। কাজেই সব রকম মিষ্টি স্বাদের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। ব্যতিক্রম ফল। তবে ফলের রস চলবে না একেবারেই। প্রতি দিন দু’টো ফল খান চিবিয়ে।

যতবার খাবার খাবেন ততবারই গলব্লাডার থেকে বিলিরুবিন নির্গত হয়। আর তাই কোনো বেলার খাবার বাদ দিলে বেশি পরিমাণে বিলিরুবিন নির্গত হবে যার ফলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়বে। পরে নানা ভাবে সংক্রমণ হয়ে ক্যান্সারের সম্ভাবনাও থাকে। এ কারণে খালি পেটে থাকা মোটেও ঠিক নয়।

হজম ক্ষমতা ভালো করতে বেশি পরিমাণ ফাইবার খেতে হবে। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। যেমন, শাকসবজি, ফল, হোল-গ্রেন তথা ব্রাউন রাইস, আটা–জোয়ার–বাজরা ইত্যাদির রুটি, ব্রাউন ব্রেড, খোসাওলা ডাল ইত্যাদি।

ওজন যাতে না বাড়ে সে দিকে খেয়াল রাখুন। বেড়ে গেলে রাতারাতি কমানোর চেষ্টা না করে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে সময় নিয়ে কমান। ওবেসিটি কিংবা অতিরিক্ত ওজন বাড়লেই পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

সহ্য করতে পারলে একদম লো ফ্যাট দুধ খান। দুধের তৈরি খাবারও খেতে পারেন পরিমিত পরিমাণে। এছাড়া  ছানা, টক দইও খেতে পারেন। তবে পায়েস, মিষ্টি, পনির, ক্রিম এসব একদমই খাওয়া ঠিক নয়।

তেল মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। যাদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর অপসারন করা হয়েছে তাদের সামান্য তেলে ভাজা খাবার খেলেও পেট খারাপের সম্ভাবনা থাকে। গলব্লাডার সুস্থ রাখতে চাইলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার, পিৎজা, খাসির মাংস, আইসক্রিম, কেক এসব খাবার এড়িয়ে চলুন। যতটা সম্ভব কম পরিমাণে কফি খান।

রোজ কিছু না কিছু উপকারি ফ্যাট খান। বাদাম, মাছের তেল, অ্যাভোক্যাডো, অলিভ অয়েল তো খাবেনই, ঘি–মাখন বা অন্য তেলও পুরোপুরি বাদ দেওয়ার দরকার নেই। কারণ ফ্যাট না খেলে গল-স্টোন হয় না- এমন নয়। উপকারি ফ্যাট না খেলে বরং নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তবে তা যেন মাত্রা না ছাড়ায়। দিনে ২–৩ টেবিল চামচ বা ৩০–৪৫ মিলি–র বেশি তেল খাবেন না। সিকি চামচ ঘি–মাখন খাবেন সপ্তাহে দু’–তিন বার। সপ্তাহে ৩–৪ বার ২৫ গ্রামের মতো নুনহীন সেঁকা বাদাম খাবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Archives