পিত্তথলিতে পাথর জমা এড়াতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
চিনির কোনো উপকার নেই, বরং অপকার আছে বিস্তর। কাজেই সব রকম মিষ্টি স্বাদের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। ব্যতিক্রম ফল। তবে ফলের রস চলবে না একেবারেই। প্রতি দিন দু’টো ফল খান চিবিয়ে।
যতবার খাবার খাবেন ততবারই গলব্লাডার থেকে বিলিরুবিন নির্গত হয়। আর তাই কোনো বেলার খাবার বাদ দিলে বেশি পরিমাণে বিলিরুবিন নির্গত হবে যার ফলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়বে। পরে নানা ভাবে সংক্রমণ হয়ে ক্যান্সারের সম্ভাবনাও থাকে। এ কারণে খালি পেটে থাকা মোটেও ঠিক নয়।
হজম ক্ষমতা ভালো করতে বেশি পরিমাণ ফাইবার খেতে হবে। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। যেমন, শাকসবজি, ফল, হোল-গ্রেন তথা ব্রাউন রাইস, আটা–জোয়ার–বাজরা ইত্যাদির রুটি, ব্রাউন ব্রেড, খোসাওলা ডাল ইত্যাদি।
ওজন যাতে না বাড়ে সে দিকে খেয়াল রাখুন। বেড়ে গেলে রাতারাতি কমানোর চেষ্টা না করে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে সময় নিয়ে কমান। ওবেসিটি কিংবা অতিরিক্ত ওজন বাড়লেই পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
সহ্য করতে পারলে একদম লো ফ্যাট দুধ খান। দুধের তৈরি খাবারও খেতে পারেন পরিমিত পরিমাণে। এছাড়া ছানা, টক দইও খেতে পারেন। তবে পায়েস, মিষ্টি, পনির, ক্রিম এসব একদমই খাওয়া ঠিক নয়।
তেল মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। যাদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর অপসারন করা হয়েছে তাদের সামান্য তেলে ভাজা খাবার খেলেও পেট খারাপের সম্ভাবনা থাকে। গলব্লাডার সুস্থ রাখতে চাইলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার, পিৎজা, খাসির মাংস, আইসক্রিম, কেক এসব খাবার এড়িয়ে চলুন। যতটা সম্ভব কম পরিমাণে কফি খান।
রোজ কিছু না কিছু উপকারি ফ্যাট খান। বাদাম, মাছের তেল, অ্যাভোক্যাডো, অলিভ অয়েল তো খাবেনই, ঘি–মাখন বা অন্য তেলও পুরোপুরি বাদ দেওয়ার দরকার নেই। কারণ ফ্যাট না খেলে গল-স্টোন হয় না- এমন নয়। উপকারি ফ্যাট না খেলে বরং নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তবে তা যেন মাত্রা না ছাড়ায়। দিনে ২–৩ টেবিল চামচ বা ৩০–৪৫ মিলি–র বেশি তেল খাবেন না। সিকি চামচ ঘি–মাখন খাবেন সপ্তাহে দু’–তিন বার। সপ্তাহে ৩–৪ বার ২৫ গ্রামের মতো নুনহীন সেঁকা বাদাম খাবেন।