• বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রিপন মিয়া: কাঠমিস্ত্রির হাত থেকে উঠে আসা এক ‘বাস্তব’ কনটেন্ট জাদুকর “ম্যাগনেটিক পিলার” নিয়ে গুজব: বাস্তবতা কী বলছে? প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, এই বিচার কার কাছে দেব: মতিউর রহমান চৌধুরী নব্বইয়ের আলো, বর্তমানের প্রতিধ্বনি জামালপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত  কুমিল্লা জাঙ্গালিয়ায় আইদি কাউন্টারে হামলা! মহান লাইলাতুল কদর মোবারক উপলক্ষে সালাতু সালাম মাহফিল অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে হযরত মাওলা আলী(আঃ) মহা পবিত্র শাহাদাৎ দিবস উপলক্ষে দোয়া, ইফতার মাহফিলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা গাজীপুরে জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। দৈনিক বাংলাদেশের খবর প্রতিদিনের ইফতার মাহফিল।

প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, এই বিচার কার কাছে দেব: মতিউর রহমান চৌধুরী

71Times / ৫৮৫৯ Time View
Update : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫

প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, এই বিচার কার কাছে দেব: মতিউর রহমান চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার
“প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়—এই দেশে আমরা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি। এই বিচারের দায় কার? সরকার নাকি অন্য কারো?”—জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ প্রশ্ন তুলে ধরেন দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

রোববার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৫ উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তা-এর সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।

মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, “গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। আমাদের কথা বলতে দিতে হবে, লিখতে দিতে হবে, প্রশ্ন করতে দিতে হবে। তাহলেই গণমাধ্যম মুক্তির স্বাদ পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “যেখানে সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, চাকরি কেড়ে নিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কল্পনাতীত। অথচ সেই দেশেই আজ আমরা মুক্ত গণমাধ্যমের দিবস পালন করছি—এটাই সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।”

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, “বিশ্বজুড়ে যখন মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালনের প্রয়োজন পড়ে, তখনই বোঝা যায়—মাধ্যমটি আসলে কতটা শৃঙ্খলিত। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে অবস্থান এখনও নিচে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব এবং একচেটিয়া মালিকানা স্বাধীনতা খর্ব করছে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা অনেকেই ১৬ ডিসেম্বর মানেন না, নারী সংস্কার কমিশন মানেন না। এ দায় কে নেবে? সংস্কারের বটম লাইন হতে হবে—স্বাধীনতা ও ১৯৭১।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “গণমাধ্যমকে একচেটিয়া মালিকানার কবল থেকে রক্ষা করতে নীতিমালা প্রয়োজন। তবে সেই নীতিমালা যেন গলা টিপে ধরার নীতিতে পরিণত না হয়। ভয়হীন সমাজ গড়তে চাই আমরা—যেখানে সাংবাদিকদের চাকরি যাবে না, মব অ্যাটাক হবে না, আর রাষ্ট্র নিরব দর্শক হবে না।”

প্রধান বার্তা:
এই অনুষ্ঠানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আজ হুমকির মুখে। প্রশ্ন করা অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করেই যদি রাষ্ট্র নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তাহলে গণতন্ত্র কেবল শব্দ হিসেবেই থাকবে—চর্চা হিসেবে নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর