• রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সামিউন বাসির: গ্রামের মাটিতে জন্ম নেওয়া এক নিরব যোদ্ধার গল্প জামালপুর সদর উপজেলা বিএনপির বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত জামালপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: বিদ্যুৎ শর্ট সার্কিটে গরু, ছাগল, অটোগাড়ি ও ঘর পুড়ে ছাই, ক্ষতিগ্রস্ত ৫ পরিবার এপ্রিলে নয় ডিসেম্বরেই নির্বাচন চান ইনসানিয়াত বিপ্লব,বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত। নরিন্দ্রপুর পূর্বপাড়া যুব উন্নয়ন সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন জামালপুরে ঝুমকা হস্তশিল্প সমিতির মাধ্যমে ৫০টি গরুর কোরবানি, ১৭৫০ পরিবারের মাঝে মাংস বিতরণ ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসী ও সাংবাদিক সমাজকে জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের শুভেচ্ছা দৈনিক বরুড়া কণ্ঠের মতবিনিময় সভা ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত” কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ৪০১ স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসেছে” লালমাইয়ে বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সড়ক ও ড্রেন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করলেন উপজেলা প্রকৌশলী সাবরীন মাহফুজ

প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, এই বিচার কার কাছে দেব: মতিউর রহমান চৌধুরী

71Times / ৫৯৫৫ Time View
Update : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫

প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, এই বিচার কার কাছে দেব: মতিউর রহমান চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার
“প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়—এই দেশে আমরা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি। এই বিচারের দায় কার? সরকার নাকি অন্য কারো?”—জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ প্রশ্ন তুলে ধরেন দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

রোববার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৫ উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তা-এর সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।

মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, “গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। আমাদের কথা বলতে দিতে হবে, লিখতে দিতে হবে, প্রশ্ন করতে দিতে হবে। তাহলেই গণমাধ্যম মুক্তির স্বাদ পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “যেখানে সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, চাকরি কেড়ে নিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কল্পনাতীত। অথচ সেই দেশেই আজ আমরা মুক্ত গণমাধ্যমের দিবস পালন করছি—এটাই সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।”

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, “বিশ্বজুড়ে যখন মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালনের প্রয়োজন পড়ে, তখনই বোঝা যায়—মাধ্যমটি আসলে কতটা শৃঙ্খলিত। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে অবস্থান এখনও নিচে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব এবং একচেটিয়া মালিকানা স্বাধীনতা খর্ব করছে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা অনেকেই ১৬ ডিসেম্বর মানেন না, নারী সংস্কার কমিশন মানেন না। এ দায় কে নেবে? সংস্কারের বটম লাইন হতে হবে—স্বাধীনতা ও ১৯৭১।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “গণমাধ্যমকে একচেটিয়া মালিকানার কবল থেকে রক্ষা করতে নীতিমালা প্রয়োজন। তবে সেই নীতিমালা যেন গলা টিপে ধরার নীতিতে পরিণত না হয়। ভয়হীন সমাজ গড়তে চাই আমরা—যেখানে সাংবাদিকদের চাকরি যাবে না, মব অ্যাটাক হবে না, আর রাষ্ট্র নিরব দর্শক হবে না।”

প্রধান বার্তা:
এই অনুষ্ঠানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আজ হুমকির মুখে। প্রশ্ন করা অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করেই যদি রাষ্ট্র নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তাহলে গণতন্ত্র কেবল শব্দ হিসেবেই থাকবে—চর্চা হিসেবে নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর