বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রামে সবসময় পাশে থেকে প্রেরণা যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুকে সঙ্গিনী হয়ে সাহস দিয়েছেন, দেশের জন্য কাজ করার। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে ধারণ করে বঙ্গমাতা সারাজীবন নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই ত্যাগ কখনো বৃথা যেতে দেয়া হবে না। বিলাসী জীবন নয়, বরং অসহায় মানুষের পাশে থাকার শিক্ষা প্রধানমন্ত্রী তার মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছেন বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫৮ সালে মার্শল ল’ জারি হওয়ার পর আব্বা আলফা ইন্সুরেন্সে চাকরি করতেন। এই দু’বছর আমার মা সংসারের স্বাদ পেয়েছিলেন। কারণ তখন রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হওয়া স্বত্ত্বেও আমার মায়ের কোনো অহমিকা ছিল না।
এরআগে সকালে বনানীতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ। শ্রদ্ধা জানানো শেষে, বঙ্গমাতার আত্মার শান্তি ও দেশ জাতির কল্যাণে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
( মুহাম্মাদ মহাসিন,বার্তা বিভাগ)