নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ফুটপাতে রাজনৈতিক টাউট, মাস্তান এবং পুলিশের কিছু অসৎ সদস্য এ চাঁদাবাজিতে জড়িত
রাজধানীর ফুটপাতে প্রতিদিন চলে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি। রাজনৈতিক টাউট, মাস্তান এবং পুলিশের কিছু অসৎ সদস্য এ চাঁদাবাজিতে জড়িত। চাঁদাবাজদের কারণেই রাজধানীর ফুটপাতে যেখানে সেখানে অবাধে বসানো হয় পণ্যের দোকান। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতেও ইন্ধন জোগায় চাঁদাবাজি।
ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের যে দাম নির্ধারণ করেন তার সঙ্গে যুক্ত থাকে চাঁদাবাজদের দেওয়া অর্থের হিসাব। একটি হকার সংগঠনের তথ্যানুযায়ী গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, সূত্রাপুর, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, মিরপুর, বিমানবন্দর, উত্তরাসহ রাজধানীর ৫০টি এলাকায় হকারের কাছ থেকে চাঁদা তোলার জন্য নিযুক্ত আছেন দেড় শতাধিক লাইনম্যান। চাঁদা তোলার জন্য প্রত্যেক লাইনম্যানের সঙ্গে পাঁচ-সাতজন সহযোগী থাকে। ফুটপাত চাঁদাবাজির সঙ্গে এলাকার রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাও জড়িত।
তাদের ছত্রচ্ছায়ায় একটি গোষ্ঠী ও একশ্রেণির পুলিশ সদস্যের যোগসাজশে লাইনম্যান সরদার ও লাইনম্যান নিয়োগ দেয়। কোনো কোনো এ প্রক্রিয়ায় এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ঢাকায় অন্তত তিন লাখ হকার রয়েছেন। এলাকাভেদে ও পণ্যের ধরন অনুযায়ী একজন হকারের কাছ থেকে দৈনিক অন্তত ১০০ টাকা চাঁদা তোলা হয়।
রাস্তায় ভ্যানগাড়ি করে পণ্য বিক্রি করলেও চাঁদা দিতে হয় চাঁদাবাজদের। চাঁদাবাজদের কারণে রাজধানীর বেশিরভাগ ফুটপাতে মানুষ চলাচলের পরিবেশ নেই। চাঁদাবাজ কারা এটি প্রতিটি থানা পুলিশের জানা থাকা সত্ত্বেও বোধগম্য কারণে তারা সবকিছু না জানার ভান করে। ফুটপাতে দোকান বসানোর কারণে মৌচাক মার্কেটের সামনে বা ধারে কাছের এলাকায় পথচারীদের চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাঁদাবাজরা আর্থিক সংগতির কারণে প্রতিটি এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী পোষে এটি একটি ওপেন সিক্রেট।রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের থাবা বিস্তৃত হওয়ায় তারা যে রাজনৈতিক দলের অসৎ নেতাদের প্রশ্রয় পান এটি একটি ওপেন সিক্রেট। জনস্বার্থে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সরকার সক্রিয় হবে-এমটিই প্রত্যাশিত।