মামুন ও রাজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
মো. আলমগীর, জামালপুর।
সন্ত্রাসী হামলায় জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের গোদাশিমলা বাজারের ব্যবসায়ী মন্টু মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় মামলার এজাহারে শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার ছেলে মো. সাখাওয়াত পারভেজ রাজনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
বুধবার (২১জুন) দুপুরে শহরের দয়াময়ী মোড়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী মোছা. নাসিমা শেখ বলেন, গোদাশিমলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধী অবস্থায় মারা যান শুনেছি। ওই ঘটনার সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা ওই ব্যবসায়ীকে চিনিও না। ওই ঘটনায় মামলায় রহস্যজনক কারণে আমার স্বামী শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ছেলে মো. সাখাওয়াত পারভেজ রাজনকে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করে পুলিশ। যেদিন মামলা হয়েছে তার আগের দিন আমার স্বামী ও ছেলে অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে যান। হাজিরা শেষে ফেরার পথে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। মামলা হওয়ার আগের দিন কোন কারণে তাদের গ্রেফতার করে মন্টু হত্যা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে তা আমাদের জানা নেই। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে ও সাখাওয়াত পারভেজ রাজনের ছোট বোন মোহনা শেখ বলেন, আমার বাবা ও ভাই ব্যবসায়ী মন্টুর সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের বিষয়ে কিছুই জানেন না। আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে জানি যে, সন্ত্রাসী হামলায় গোদাশিমলা বাজারের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। অথচ এ ঘটনায় মামলা হওয়ার আগের দিনই আমার বাবা ও ভাইকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমরা চাই প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তিনি তার বাবা ও ভাইকে নিরপরাধ দাবি করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান।
এছাড়া মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুনের মামাতো ভাই আসাদুজ্জামানসহ পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে মন্টুর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ জানান, ব্যবসায়ী মন্টু হত্যার ঘটনায় অভিযোগ প্রাপ্তির পর সন্দেহ হিসেবে অভিযুক্ত ওই দুই আসামিকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।
জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ জানান, মন্টু মিয়া হামলার ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে। এ জন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরবর্তীতে মামলার হওয়ার পর তাদেরকে আসামী করা হয়। আসামীদের বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে ব্যবসায়িক কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন মন্টু মিয়া। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২০ জুন) আনুমানিক রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই ব্যবসায়ী।