মেলান্দহে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যা
মো. আলমগীর, জামালপুর।
জামালপুরের মেলান্দহে লায়লা বেগম (৩৮) নামে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের চর খাবুলিয়া নিহতের শশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় নিহতের ভাই ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে চাইলে থানা পুলিশ মামলাটি নেইনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় বিশ বছর পূর্বে লায়লা বেগমের সাথে সৌদি প্রবাসী রকিবুল ইসলামের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে লায়লা বেগমের দুই বছরের ছোট মেয়ে দীর্ঘ সময় কান্না করতে থাকে। কান্নার শব্দ শুনে তার শশুর রফিকুল ইসলাম অনেক ডাকা ডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার ঘরে ঢুকে লায়লা বেগমকে গলায় উড়না পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা ঝুলন্ত মরদেহ মাটিতে নামায়।
এদিকে নিহতের পরিবারেরা জানান, আমরা সকাল বেলা এসে দেখি ঘরের বারান্দায় মরদেহটি পড়ে রয়েছে। দুইদিন আগে দুই মণ ধান বিক্রি করেছিলো তার দুইদিন পড়ে মেরে ফেলেছে। বিয়ের পর থেকই শশুর বাড়ির লোকজন তার উপর অনেক নির্যাতন করতো। জামাই দেশের বাইরে থাকে এ সুযোগে আরও বেশি নির্যাতন করত। এ নিয়ে অনেক সালিশিও হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই ইয়াকুব আলী বলেন, আমার বোনকে হত্যা করেছে তার শশুর শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন। আমরা সকাল বেলা খবর পেয়েছি দেখি ঘরের বারান্দায় লাশ পড়ে রয়েছে। আমরা সকাল থেকেই সারাদিন থানায় ছিলাম। হত্যা মামলা করার জন্য অনেকবার বলছি কিন্তু থানায় মামলা নেয়নি।
মেলান্দহ থানার ওসি তদন্ত কবির হোসেন বলেন, খরব পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিহতের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ বলেন, এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।