খাতে নিয়োজিত রহিয়াছে ১০ শতাংশ। এই ১৫ শতাংশ হইল দেশের প্রাতিষ্ঠানিক খাত। অবশিষ্ট ৮৫ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের, যাহাদের কোনো নিয়োগপত্র নাই। তাহারাও পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হইতেছেন, যাহা একটি সুখবরই বটে। বলিবার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার রহিয়াছে। সরকারের মেয়াদের শেষের দিকে হইলেও এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ফলে দেশের মানুষ উপকৃত হইবে। দেশে গড় আয়ু ও প্রবীণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি বাড়িতেছে ক্রমশ। এমতাবস্থায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রয়োজনীয়তা বলাই বাহুল্য। যদিও ইহা নতুন কোনো ধারণা নহে। আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতেও সাম্প্রতিক কালে এইরূপ স্কিম চালু করা হইয়াছে। নেদারল্যান্ডসসহ অনেক উন্নত দেশে এই স্কিম কার্যকর রহিয়াছে।
মূলত কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণা হইতেই সর্বজনীন পেনশন স্কিমের চিন্তার উদ্ভব হইয়াছে। ইউরোপের কল্যাণমূলক অনেক রাষ্ট্রে এই ব্যবস্থাটি বিদ্যমান থাকায় সেখানকার নাগরিকগণ অনেকটা নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করিতেছেন। স্কিমটি পরিচালনা করাও এমন কোনো কঠিন কাজ নহে। বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা ইতিমধ্যেই তৈরি হইয়াছে। আমরা মনে করি, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নাগরিকদের জন্য ইহা একটি বড় সুযোগ। তাই এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা কাম্য। সর্বজনীন পেনশন স্কিম যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হউক—ইহাই আমরা কামনা করি।