সিলেটের চা বাগানগুলোতে চা উৎপাদনে ব্যাপক ধস
সিলেট প্রতিনিধি: গত কয়েক দিনের শ্রমিক আন্দোলনে সিলেটের চা বাগানগুলোতে চা উৎপাদনে ব্যাপক ধস নেমেছে। বকেয়া বেতনের দাবীতে টানা আন্দোলনে নেমেছেন চা শ্রমিকরা। ৭ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি এবং ১৩ মাসের প্রফিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) চাঁদা শ্রমিক তহবিলে জমা না দেওয়ার প্রতিবাদে টানা ১৫ দিনের মতে কর্ম বিরতি পালন করেছেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির কয়েক হাজার চা-শ্রমিকরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর ২৪ইং) দুপুরে লাক্কাতুরা চা বাগানের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির লাক্কাতুরা, কেওয়াচড়া ও দলদলি চা বাগানের কয়েক’শ শ্রমিকরা। এ সময় চা শ্রমিকরা জানান, টানা ১৫ দিনের মতে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের ব্যাপারে মালিকপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু বলছে না। ব্যাংকে টাকা না থাকাসহ বিভিন্ন অজুহাতে মজুরি দিচ্ছেন না বাগান মালিক বা কোম্পানি গুলো। তবে বাগানের ম্যানেজার বা অন্যান্যরা ঠিকই বেতন পাচ্ছেন। এছাড়া শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের চাঁদা আদায় করেও তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়নি।
কর্ম বিরতির কারণে বন্ধ রয়েছে ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি) মালিকানাধীন ১২টি কারখানা। যার ফলে উৎপাদন ব্যহৃত হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে পাতা। যার প্রভাব পড়বে চায়ের লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে। এ ব্যাপারে ন্যাশনাল টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার এমদাদুল হকের মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। দেশের ১৬৮টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৬টির অবস্থান সিলেট বিভাগের তিন জেলায়। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছাড়া চা-বাগান থেকেই বাংলাদেশের চা উৎপাদন শুরু হয়। এসব চা বাগানে কাজ করেন কয়েক লাখ চা-শ্রমিক।