সিলেটে চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়াতে কৃষি ও মৎস খাতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি
আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটে চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়াতে কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে অতিরিক্ত গরমে কৃষি জমি ও মৎস খামারে পানি কমতে শুরু করে। যার ফলে মৎস খামারে মাচ মরতে থাকে। সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমি বায়ু, সাগর থেকে পুঞ্জীভূত মেঘ ঢোকার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এছাড়া বর্ষাকাল চলে আসায় বৃষ্টির পরিমান কিছুটা বেড়েছে। জুন মাস জুড়েই থেমে থেমে বৃটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায় মে মাসে সিলেটের জন্য গড় বৃষ্টিপাত হচ্ছে ৫৬৯.৬ মিলিমিটার। তবে এবছর রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩০.৩ মিলিমিটার। মানে এবছর মে মাসে স্বাভিকের তুলনায় ২৩৯.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি কম হয়েছে। যার ফলে মে মাসের পুরোটা সময় তাপদাহ অনুভূত হয়েছে। গত বছর ৮৪৫ মিলিমিটারের মত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। আর ২০২১ সালে মে মাসে ৩৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
বৈশ্বিক কারণে গুটা বিশ্বব্যাটি বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের তার মধ্যে একটি। গত কয়েক দিনের দাবদাহের পর এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিললেও যা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় কম। গত রবিবার (১১ জুন) পর্যন্ত চলতি মাসের ১১ দিনে সিলেটে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ১১১ মিলিমিটার।চাহিদার তুলনায় কম বৃষ্টি হওয়ার কারণে মৎস্য ও কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান জানান, কম বৃষ্টি হওয়ার কারণে আউশধানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে খড়া দেখা দিয়েছে যার ফলে বীজ লাগানো যায় নি। আউশধান পুরোটা বৃষ্টিনির্ভর ফসল হওয়ায় চাষাবাদ কম হয়েছে। এবার ৭৭ হাজার ৯০০ হেক্টরে জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত চাষাবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৫৫১ হেক্টর জমিতে। আমরা চেষ্টা করবো এ ক্ষতি আমন ধান দিয়ে পুষিয়ে নেয়ার।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অনাবৃষ্টি সিলেটের মৎস্য খাতে প্রভাব ফেলবে। ছোট মাছগুলো এসময়ে প্রজনন করে থাকে। বৃষ্টি কম হওয়ায় মাছের প্রজননের সময় পিছিয়ে যাবে। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে মাছের প্রজননের সময়। এ সময়ে বিভিন্ন ধাপে মাছ ডিম ছাড়ে।