শাহজালাল ভূইয়া সজিব বিশেষ প্রতিনিধি ৭১টাইমস্ : কুমিল্লা:সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুমিল্লা বরুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ এন এম মইনুল ইসলাম। তার নির্বাচনী প্রতীক হচ্ছে হেলিকপ্টার।গতকাল শুক্রবার (১৭ মে ২০২৪ইং) সকাল ১১টায় রেড উইং হোটেল রেষ্টুরেন্ট এন্ড কনভেনশন হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে নির্বাচনের পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। তার মেগা প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যেই আলোর মুখ দেখেছে, তিনি আমাদের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা জানেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল হাকিম। এই আসনের চার চারবারের সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকায় জনগণের মুখপাত্র ছিলেন। তাঁরই সন্তান হিসেবে আমিও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আত্মীয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের খুব কাছের মানুষ। কে কার আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ তা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। আমার এলাকাবাসীর প্রতি ভরসা আছে তারা নিশ্চয়ই হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি কর্মকান্ডে এলাকার সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। আনারস প্রতীকের প্রার্থী হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিচয় ব্যবহার করে এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করছেন। আমার কর্মীদের নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। কয়েকটি এলাকার আমার নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে ফেলেছেন এবং শাহাপুরের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছেন। আনারস প্রতীকের কর্মীরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে এমপি ও মন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আমার বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার ও গুজব রটনা করছেন।
আপনারা জানেন আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন সজ্জন ব্যক্তি দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কোন অনৈতিকতার সাথে জড়িত না থাকলেও তার নাম ভাঙ্গিয়ে আনারস প্রার্থীর কর্মীরা এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এতে করে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে আমি মনে করি। তারই সাথে সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার কর্মীরা আমার বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে সংঘাত সৃষ্টি করে তার দায়ভার আমার উপর দেয়ার অপচেষ্টাও করছেন। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
সবশেষে তিনি বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আজীবন কাজ করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমিও আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের পাশে আছি, থাকবো এবং আগামী ২১ তারিখ সারাদিন হেলিকপ্টার মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণ আমাকে জয়যুক্ত করবেন, ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।