সড়ক নয়, যেন চাষের জমি
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী
মোঃআবদুল আউয়াল সরকার,
কুমিল্লা জেলা থেকে
শুকনো মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। বিকল্প সড়ক না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। কাঁচা রাস্তায় পিচ্ছিল হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিবছর সামান্য মাটি ভরাট ছাড়া কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি ওই রাস্তায়। নেতাদের শুধু দায়সারা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ, তাই রাস্তা আর পাকা হয়নি।
কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের রসুলপুর থেকে বদরপুর পর্যন্ত রাস্তার বর্তমানে নাজেহাল অবস্থা।
রাস্তাটির বিভিন্নস্থানে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়ে আছে। গ্রীষ্মে থাকে হাটু সমান ধুলা ও বর্ষায় থাকে কাঁদাময়। এ অবস্থায় গত কয়েক বছর ধরে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
রসুলপুর ও বদরপুর বাজার দুটি সংযোগ করায় রাস্তাটি দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এছাড়া ৫/৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ থেকে ৪ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের মাধ্যম রাস্তাটি। বেশ কয়েক বছর ধরে রাস্তাটির অবস্থা ক্রমে খারাপের দিকে যেতে যেতে এখন প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ দিন রাস্তাটি মেরামত না করায় এবং রাস্তার দুইপাশে মৎস্য চাষীরা প্রজেক্ট করার কারণে রাস্তার অবস্থা বর্তমানে খুবই শোচনীয়। বর্তমানে স্থানে স্থানে রাস্তাটি ভেঙ্গে এমন অবস্থায় পরিনত হয়েছে যে অটোরিকশা, সিএনজি ও চলাচল করতে পারেনা। এমনকি গ্রীষ্ম ও বর্ষায় পায়ে হেটেও চলাচল করা যায়না।
পরিশেষে, গর্ত আর খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।
গ্রামের বাসিন্দা হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে গাড়ি চলা তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও পথ অতিক্রম করা ঝুঁকিপূর্ণ। উন্নত চিকিৎসায় জরুরি রোগী নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হয়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতেও পারছেন না।
ওয়ার্ড মেম্বার আবুল বাশার বলেন,আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি এ রাস্তার ব্যাপারে। আশা করি এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতায় কয়েকদিনের মধ্যে এ রাস্তার কাজ শুরু হবে।
মাইজখার ইউপি চেয়ারম্যান শাহ সেলিম প্রধানের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটিতে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।