নাকুগাও স্থলবন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা :
এস এম আজিজুল হাকিম : শেরপুরে নালিতাবাড়ি নাকুগাও স্থল বন্দর দিয়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে পাথর আমদানি এবং অন্যান্য রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থল বন্দরটি সার্বিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে। এই স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলেছেন।
এক মাসের বেশি সময় ধরে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধের কারণে কাজ না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ছে শ্রমিকরা। বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রায় চার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গে ডলার সংকট ও ভারত থেকে পাথর না আসায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছেন সরকারিভাবে পাথর আমদানী বন্ধের ঘোষণা না থাকলেও ভারতের ব্যবসায়ীরা পাথরের কোন গাড়ি বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না
। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি কারক ও শ্রমিক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজন মিয়া জানান মাঝেমধ্যে এক থেকে দুই গাড়ি ভুটানের পাথর এলেও এ থেকে ব্যবসা কিংবা শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্চেনা। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে শ্রমিকরা।
স্থল বন্দরের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। নাকুগাও স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানি কারক মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান ( মুকুল) ৭১ টাইমসকে বলেন পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় আমাদের কোটি কোটি টাকা আটকা পড়ে আছে। এতে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে আমাদের।
তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে পাথর আশা শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের লোকসান এবং শ্রমিকরা কর্মহীন হওয়ার পাশা পাশি সরকারও প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বলে বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানান। নাকুগাঁও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন গত জুন মাসে এই বন্ধরে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা জুলাই আর চলতি
আগস্ট মাস পর্যন্ত দুই মাসে ভুটানের কিছু পাথর আশায় রাজস্ব আদায় হয়েছে নামমাত্র আমদানি চালু থাকলে দুই মাসের রাজস্ব আদায় হতো প্রায় দেড় কোটি টাকা।