কুমিল্লায় আদালত অবমাননা করে-
এক পুলিশ কর্তার প্রভাবে,
বয়োবৃদ্ধ ইদ্রিস মিয়ার জীবন বিপন্ন
সাইফুল ইসলাম ফয়সালঃ ৭১টাইসম্
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে ইদ্রিস মিয়া,গনপূর্ত সার্কেল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুবি আনোয়ার হোসেন সাহেবকে নিয়ে গাড়ির সামনে বাংলাদেশী পতাকা লাগিয়ে,কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।ক্যান্টনমেন্ট পৌঁছা মাত্রই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবলে পরে,বন্দুক ঠেকিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে বন্দুকের মাথায় থাকা বেনেট দিয়ে গাই মেরে ডান হাতের আইয়াত তলে মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করে।জখমী অবস্থায় রাজগঞ্জ এসে চাদশির হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করে।যুদ্ধ চলাকালীন সময় হাসপাতালে ভয়ে যায় নি,হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মধ্যেই সুস্থ হন।
তারপর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু কমান্ডার ও চান্দিনা ইফতারপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলি আকবরকে বিভিন্ন খবর দিতেন।ক্যাপ্টেন বুখারি আমাদের সুপারেন্টেন ইঞ্জিনিয়ার সূবি সাহেবের বাড়ী দখল করে নিয়েছে।বাচ্চু কমান্ডার আমাকে বলেন, বুখারির ওই বাসায় কি করে সব আমাকে জানাবেন।
যুদ্ধ চলাকালীন আমি বাচ্চু কমান্ডার সাহেবকে নিয়োমিত পাক বাহিনী ও রাজাকারদের সব খবর জানাতাম। ধানমন্ডি ৭নং রোডের মাথায় ছিল বঙ্গবন্ধুর বাসা,পাশে ২নং রোডের মাথায় আমাদের সূবি সাহেবের বাসা।ফলে প্রতিনিয়ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব কে খুব কাছ থেকেই দেখার সুভাগ্য আমার হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হলো,স্বাধীনতার ৫০বছর পরও আমার সুভাগ্য হয়েছে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে কুমিল্লার সার্কিট হাউস,ডিসি অফিস, ম্যাজিট্রেট কোয়ার্টার,শিল্পকলা একাডেমির পাশে গনপূর্ত স্টাফ কোয়ার্টার সহ বিভিন্ন স্থাপনার সাজানোর দায়িত্ব পালন করার।
আমার ভাই খালেক ১৯৭০সালে ১৭৭দাগে ৩৯শতক জায়গার সাব কাওলা দলিল দিয়াছে বাবাকে।ভাইয়ের আর কোন জায়গাই নাই,তবুও জাকির হোসেনকে ১৯৯২সালে ১৮শতক জায়গা দানপত্র দলিল দেন।পরবর্তিতে ওই দলিল খানা চান্দিনা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে সে নিজেই তা বাতিল করে দেন।আমার বসত ঘর সহ(নাবালক পুত্র মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম এর নিকট হইতে ভূয়া ২টি দলিলের মাধ্যমে) আমার ভাই খালেক আত্মসাৎ করেছিল।
বিজ্ঞ আদালতে মামলা নং ২৭/১২ দায়ের করি,ভূয়া দলিল গুলো বাতিল করে,পরবর্তীতে মাননীয় আদালতের চূড়ান্ত রায় ৪/১৮ইং এর মাধ্যমে রাস্তা সহ আমাকে জায়গা বুঝাইয়া দেন।পুলিশ,ম্যাজিস্ট্রেট,নাজির সহ সংশ্লিষ্টরা আমাকে জায়গা বুঝাইয়া দিয়াছে।ফলে ভাই খালেক নিঃশর্ত বান হইয়াছে।জাকির হোসেন মিথ্যা দলিল সম্পাদন করে,আলম সরকারের নিকট হস্তান্তর করেছিল।আমি আদালতে মামলা দায়ের করি,বিজ্ঞ আদালত তা আমলে নিয়ে-জাকির ও আলম এর ওয়ারিশ গণদের নোটিশ প্রদান করেন,কিন্ত তারা আদালতে যায়নি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আলমের ওয়ারিশ মিজানুর রহমান ইমন ও মাসফিকুর রহমান গংরা আমার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন এবং আমার লাগানো ৪০টি গাছ বিভিন্ন গাছ কেটে নেয়।সাবেক১৭৮ দাগের ফসলী জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নেয় মহসিন। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার চান্দিয়ারা গ্রামে গত১১/০১/২০২২ইং রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬টায় অস্ত্রধারি সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত ৭৫ বছরের বয়োজ্যেষ্ঠ ইদ্রিস মিয়া জানান,জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে,চাঁদা দাবী অতঃপর,পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যার চেষ্টায় সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।এঘটনায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিঃ ম্যাজিঃ ৭নং আমলী আদালতে মোঃ ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে ৭জনকে আসামী করে সি আর ৪৪/২২ইং
ধারাঃ৩২৩/৩৭৯/৩৮৫/৪২৭/৩৪/৫০৬(২) মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি ১. মোঃ মিজানুর রহমান ইমন(২৯) ২.মাসফিকুর রহমান(২৬) উভয় পিতাঃ মৃত আলম সরকার, গং,সর্বসাং- চান্দিয়ারা, পোঃ ও থানাঃ চান্দিনা, জেলাঃকুমিল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে পি আর মামলা নং১৬৬/২১ইং সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ওয়ারেন্ট স্মারক নং
১৮২(২)১,তারিখ১৩/১/২২ইং থাকলেও তারা প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী মূলক কর্মকাণ্ডে বেপরোয়া ফলে মামলা করে রেহাই নেই ভুক্তভোগীদের।মামলার বাদী মোঃ ইদ্রিস মিয়া(৭৫)পিতাঃ মৃত ফানাউল্লাহ সরকার,সাং-চান্দিয়ারা, পোঃ+থানাঃ চান্দিনা, জেলাঃ কুমিল্লা বলেন,বর্তমানে আমি আমার স্বপরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।ওসি মজিবুর রহমান এর দাপটে আমাদের উপর বারবার হামলা নির্যাতনের ঘটনা ঘটে,ফলে আমার জীবন বিপন্ন। চান্দিনা বাররা ঠাকুর বাড়ী দখল করে ওসির দাপটে! এ বিষয়ে ১নং ও ২নং বিবাদীর বোন জামাই ঢাকায় পিবিআইয়ে কর্মরত ইন্সপেক্টর মজিবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কুমিল্লায় ৫ বছর হতে যাই না,তবে এলাকায় যোগাযোগ আছে। বিবাদীরা এলাকায় আপনার প্রভাব খাটিয়ে বা আপনার নামে ভুক্তভোগীদের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এ ব্যাপারে আপনি কিছু জানেন কি জানতে চাইলে ইন্সপেক্টর বলেন,আমি এ ব্যাপারে জানি না,তারা এলাকায় কি করে না করে তারা জানেন।