যুবকদের আদর্শ রাসূল সাঃ ”
লেখক হাফেজ মাওলানা নুরহোছাইন।
তুমি আসলে যখন এই দুনিয়ায়
এই দুনিয়ায় বদলে গেলো
মরুভূমির ধুষর বুকে
যেন শ্রাবন বৃষ্টি এলো
তোমারী শাফায়াত বিনে কেউ
জান্নাতে ঠাই পাবেনা।
”মহাসংবিধানের আয়াত সমূহ”
সূরা ইমরান আয়াত ৩১,সূরা নিসা আয়াত ৬৫,৬৯, সূরা আম্বিয়া আয়াত ১০৭, সূরা আহযাব আয়াত ৬,২১,সূরা ওয়াকিয়া আয়াত ৩৪, সূরা মুনাফিক আয়াত ৮, সূরা ক্বলাম আয়াত ৪,
তাফসীর হিসাবে সহায়ক তাফসীরে তাফহীমূল কোরআন,তাফসীরে ইবনে কাসীর,তাফসীরে নুরুল কোরআন,তাফাসীরে জালালাইন।
”যুবকের প্রতি রাসূল সাঃ অসিয়ত”
১) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূল সাঃ বলেছেন, সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহ পাকের কিতাব এবং সর্বোত্তম চরিত্র হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ চরিত্র। মুসলিম।
আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত সাহাবীরা প্রশ্ন করলো রাসূল সাঃ চরিত্র কেমন ছিল আয়েশা রাঃ বলেছেন কোরআনই হলো মুহাম্মদ সাঃ এর চরিত্র। আর স্বয়ং কোরআনই তার সাক্ষ্য।বুখারী।
হযরত আনাস রাঃ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূল সাঃ বলেছেন,ততোক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কেউ পূর্ণ মুমিন হতে পারবেনা,যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতামাতা,সন্তান -সন্তুতি এবং সমস্ত মানুষের তুলনায় অধিক প্রিয় হই।বুখারী,মুসলিম।
হযরত আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত। নবী করীম সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি আমার উম্মতের দ্বীনী চরিত্র বিকৃত ও বলে বিপর্যয়কালে আমার পদাংক অনুসরণ করে চলবে তাকে একশত শহীদের পুরস্কার ভূষিত করা হবে। বায়হাকী।
হযরত আনাস রাঃ হতে বর্ণিত আনাস রাঃ বলেন আমি রাসূল সাঃ দীর্ঘ ১০ বছর খেদমত নিয়োজিত ছিলাম কখনো রাসূল সাঃ আমাকে কোন কাজের জন্য ভুল হলেও উহ উচ্চারণ করেননি কখন রাগ করেননি বকাঝকাও করেননি।বুখারী,মুসলিম।
”প্রিয় ইতিহাস”
মক্কার ঘরে ঘরে তিনি আলামিন
মদীনায় যার স্মৃতি আজো অমলিন
কথা কাজে অমায়িক ছিলেন নবী
জীবন্ত কোরআনের প্রতিচ্ছবি।
বিশাল সাগরের মত যার চরিত্র সেখান থেকে এক ফুটা পানির মত যার চরিত্র কিয়ামত পর্যন্ত আলোচনা করেও শেষ করা যাবেনা,আয়েশা রাঃ বলেন রাসূল সাঃ চরিত্র হলো মহাসংবিধান মহাগ্রন্থ আল কোরআন।
রাসূল সাঃ সকল যুগের সকল মানুষের আদর্শ শিশুর আদর্শ যেমন নাতি হাসান হোসাইন রাঃ, যুবকের আদর্শ যেমন আবু বকর,উমর,উসমান,আলী রাঃ যার আদর্শ কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষ শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারেনা,পৃথিবীর সকল মাখলুক রাসূল সাঃ কাছে ঋণী।
রাসূল সাঃ যুবকদের এক করার জন্য দ্বীনের সৈনিক তৈরি করার জন্য সমাজ,দেশ,সংস্কার করার জন্য সৎনিষ্ঠাবান বানানোর জন্য একটি আদর্শ দল সংগঠন তৈরি করেন যার নাম দেন হিলফুল ফুযুল ঐক্যের সংগঠনটি গঠন করেন ৫৮০ সালে আহযাবের বিভেষীকাময় যুদ্ধ দেখে।
রাসূল সাঃ আদর্শ চরিত্র নেতৃত্ব দেখে ইসলামের চতুর্থ খলিফা চাচাতো ভাই জামাতা হযরত আলী রাঃ ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহন করেন যুদ্ধের তলোয়ার হাতে তুলেনেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন যে সকল যুবকরা যৌবন জীবন কাটালো আল্লাহ পাকের ইবাদাতের ঐ সকল যুবক কিয়ামতের কঠিন বিভীষিকাময় ময়দানে আরশের ছায়াতলে থাকবে।
রাসূল সাঃ বলেন কিয়ামতের কঠিন ময়দানে পাঁচটি প্রশ্নের জবাব ছাড়া কোন বান্দা এক পা নড়তে পারবেনা ঐ পাঁচটি প্রশ্নের মধ্যে ৩ টি প্রশ্নই হলো যৌবন নিয়ে।
জীবতি অবস্থায় যে ১০ জন আল্লাহ পাকের প্রিয় সাহাবী রাসূল সাঃ সর্বোত্তম সাথী জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন তারা সবায় হলো যুবক সাহাবী।
এক দিন এক বৃদ্ধা মহিলা রাসূল সাঃ দরবারে আসলেন রাসূল সাঃ কে বললেন আমি কি জান্নাতে যাবো রাসূল সাঃ মুচকি হেসে বললেন না মহিলা কান্না শুরু করলো তখন রাসূল সাঃ বলেন তুমি কোরআনে পড় নাই যারাই জান্নাতে যাবে তারা সবায় যুবক যুবতি হয় জান্নাতে যাবে।
সকল ধর্মের লোকেরা সকল যুবকের সর্বোচ্চ আইডল জনাব মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাঃ যার জীবন চরিত্র নিয়ে রাত দিন গবেষণা করে আর মুসলমান যুবক যুবতিরা অন্ধের মত দিক বিদিক ছুটে বেড়ায়,এক দিন এক খৃষ্টান দার্শনিক বলেন মুসলমান যুবকদেরকে উদ্দেশ্য করে হে মুসলমান যুবকরা তোমরা এক মুহাম্মদ সাঃ আদর্শ লালান পালন কর যে আদর্শর মধ্যে সফলতা আর সফলতা।
রাসূল আমার ভালোবাসা
রাসূল আমার আলো আশা
রাসূল আমার প্রেম বিরহের
মূল আলোচনা।
যৌবন হলো মহান রবের দেয়া উপহার যে যৌবন দিয়ে সকল কিছু অর্জন করা যায় বিজয় করা যায় সফলতা ছিনিয়ে আনা যায় ইসলামের পতা উড্ডীন করা যায়।
আজকের যুবকেরা মডান নামে অমডান হয়ে হতাশার মত অন্ধের মত দিক বিদিক ছুটে বেড়ায় খুবেই কষ্টের বিষয় দুঃখের বিষয় মুসলমান মেধাবি যুবক যুবতিরা মোবাইল,খেলা,নারী,মদ,জোয়ার আসক্তি হয় ব্যক্তি,জীবন,সমাজ জীবন ইহকাল পরকাল ধ্বংস করছে আত্মহত্যা ফাঁসি পর্যন্ত দিচ্ছে জাহান্নামি হচ্ছে ।
রাসূল সাঃ মের চরিত্র দিয়ে দীর্ঘ ১০০ বছর জাহিলি যুগকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন।
২৫ বছর বয়সে রাসূল সাঃ বিবাহ করেছেন আম্মাজান খাদীজা রাঃ কে আর আজকের যুবকরা শুধু শুধুই তালবাহানা করে বিয়ে না করে পাপের পথে পাপের দিকে পা বাড়াচ্ছে।
মক্কার ইসলামের দুষমনরা রাসূল সাঃ কে খারাফ ভাষায় গালি গালাজ করেছেন পাথর মেরেছোন ঘরবাড়ি ছাড়া করেছেন, মসাজ,দেশ ছাড়া করেছেন, তার পরেও সর্বোচ্চ চরিত্রের পরিচয় দিয়েছেন তার পরেও কোন কাফেরকে কোন মানুষকে কষ্ট দেননি।
রাসূল সাঃ শিশুর আদর্শ, যুবকের আদর্শ, বৃদ্ধার আদর্শ, ব্যক্তির আদর্শ, পরিবারের আদর্শ, সমাজের আদর্শ, রাস্ট্রর আদর্শ, পৃথিবীর আদর্শ, একতার আদর্শ ধৈর্যের আদর্শ, নেতার আদর্শ,স্বামীর আদর্শ, স্ত্রীরের আদর্শ, সন্তানের আদর্শ, বাবার আদর্শ, জামাইর আদর্শ, শশুরের আদর্শ, পরিপূর্ণ আদর্শের আঁধার আদর্শের প্রতীক প্রিয় রাহবার প্রিয়হাবীব প্রিয় রাসূল জনাব মুহাম্মাদ মুস্তাফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
প্রিয় নবীর পুরো জীবন জানতে আর রাহীকুম মাখুতুম বিশ্বজয় করা একটি জীবনি পড়ুন রাসূলের সৈনিক হন।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে কবুল করুক রাসূল সাঃ মের সৈনিক হিসাবে।
দয়া করে লেখায় কোন ভুল পেলে ইনবক্সে করে জানাবেন।