• রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ইসলামপুরে মোটরসাইকেল সহ টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ গাজীপুরে শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিনের মাজার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ মেলান্দহে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত দেবিদ্বারে মসজিদে মসজিদে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়া ও বন্যার্তদের জন্য দোয়া মাহফিল ১ হাজার টাকার নোট বাতিল প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি আসাদুজ্জামান খান কামালের অবৈধ টাকা আগষ্টিনের সুইচ ব্যাংকে! বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠিত। তেজগাঁও কলেজে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু! বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারাতে বসেছেন দিনমজুর আরিফ পুলিশহীন নগরী, সিলেটে খুলছে সব কিছু, কাটছে ভয় আতষ্কে

পিতা মাতা তোমার জান্নাত জাহান্নাম।

71Times / ৯৭৬ Time View
Update : শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

।।পিতা মাতা তোমার জান্নাত জাহান্নাম।।
আজকের জুমার খুতবা পাঠাননগর দক্ষিণ হরিপুর জামে মসজিদ ইনশাআল্লাহ।
আমারি মা, মা জননী
আমারি সুখের ঠিকানা।
কান্নাকে হায় আঁচলে লুকায়
দুঃখকে হায় শুধু ভুলে যায়
সাজাতে আমার আঙিনা।
  ।কুরআনের আয়াত সমূহ।
সূর বনী ইসরাঈল আয়াত ২৩,২৪
সূরা নিসা আয়াত ৩৬,১১
সূরা আহক্বফ ১৪ লুকমান ১৪
সূরা বাকারা ৮৩,মারয়াম ৩২
তাফসীরে তাফহীমূল কুরআন, তাফসীর মারেফুল কুরআন,তাফসীরে ইবনে কাসীর।
এই সেই ঘর
এই সেই খাট
বিছানার পাশে আছে পানের বাটা
চশমাটা পড়ে আছে পাশেই
শুধু মা নেই, শুধু মা নেই।
  ।রাসূলুল্লাহ সাঃ বাণী।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, জন্মদাতার (মা-বাবার) সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি আর জন্মদাতার (মা-বাবার) অসন্তুষ্টিতে অল্লাহর অসন্তষ্টি।‘ (তিরমিজি)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! মানুষের মধ্যে আমার সদ্ব্যবহারের সর্বাপেক্ষা হকদার ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, এরপরও তোমার মা। সে বলল তারপর কে? তিনি বললেন, তারপরও তোমার মা। সে বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, এরপর তোমার পিতা।’ (সহিহ মুসলিম ৬৩৯৪)।
 হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি নবি (সা.)-এর কাছে এলো। এরপর সে তাঁর কাছে জিহাদে অংশগ্রহণের অনুমতি চাইল। তখন তিনি বললেন, তোমার মাতা-পিতা কি জীবিত আছেন? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তাদের উভয়ের (খেদমত করে) সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা কর।’ (সহিহ মুসলিম ৬৩৯৮)।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,মায়ের পায়ের নিচে (সন্তানের) বেহেস্ত।যে চায়,সে যেন তাতে প্রবেশ করে আর না চাইলে যেন বের হয়ে যায়। [আল কামেল লি ইবনে আদী-৮/৬৪]
   ।আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী।
মা যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরিয়া
করেছেন আমাদের ঋণী
গায়ের চামড়া কাটিয়া দিলেও
 সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি, মা
সেই সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি।
কতদিন দেখিনা মায়ের ঐ চাঁদমুখ
কষ্টে হৃদয় পুড়ে
পিঠা পুলি বানাইয়া পায়েসও রান্ধিয়া
মা প্রতীক্ষা করে।
হাজারো বাস্ততা অবসর পাই কোথা
তাইতো হয়না যাওয়া গায়ের বাড়িতে।
(বাবা মায়ের জন্য গায়ের চামড়া কেটে দিলেও হৃন শোধ হবেনা। সবচেয়ে দামী পোশাক মাকে পড়াও বাবাকে পড়াও) যার বাস্তব প্রমাণ মুহাম্মদ সাঃ,,
দুধমা হালিমা মদিনায় এলে তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান এবং জোরে জোরে বলেন, ‘আমার মা’ ‘আমার মা’ এবং নিজের গায়ের চাদুর বিছিয়ে দেন বসার জন্য, সাহাবীরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন বিশ্ব নবীর গায়ের চাদুর বিছিয়ে দেন। আল্লাহু আকবার জান্নাতি ভালোবাসা।
(মাকে বাবাকে নিজ হাতে খাবার দাও আল্লাহর আরশ খুশি হবে আল্লাহর জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে যার প্রমাণ মূসা আঃ,,)
হযরত মুসা আঃ একবার আল্লাহ্ তায়ালাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্! জান্নাতে আমার সাথে কে থাকবে? জবাবে বলা হলো,ওমুক কসাই !জবাবে কসাইয়ের নাম শুনে মুসা আঃখুবই আশ্চর্য হলেন। অনেক খোঁজ করার পর মুসা আঃ তাকে বের করলেন। দেখলেন, কসাই গোস্ত বিক্রিতে ব্যস্ত! সবশেষে কসাই একটুকরো গোস্ত একটি কাপড়ে মুড়িয়ে নিলেন। অতঃপর বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন। মুসা আ: তাঁর সম্পর্কে আরো জানার জন্যে অনুমতি নিয়ে পিছুপিছু তাঁর বাড়ি গেলেন। কসাই বাড়ি পৌঁছে গোস্ত রান্না করলেন। অতপর রুটি বানিয়ে তা গোস্তের ঝোলে
মেখে নরম করলেন। তারপর ঘরের ভিতরের কামরায় প্রবেশ করে শয়নরত এক বৃদ্ধাকে উঠিয়ে বসালেন । তারপর তার মুখে টুকরো টুকরো রুটি পুরে দিতে লাগলেন। খাওয়ার পর বৃদ্ধা কি যেন কানেকানে বললেন। অমনি কসাই মুচকি হাসলেন। দূর থেকে মুসা আঃ সব-ই দেখছিলেন। কিন্তু, কিছুই বুঝলেন না। মুসা আঃ বৃদ্ধার পরিচয় এবং মুচকি হাসার বিষয়টি কসাইকে জিজ্ঞেস করলেন। কসাই বললেন, ওনি আমার মা! আমি বাজার থেকে আসার পর সর্বপ্রথম আমার মাকে রান্না করে খাওয়াই।
আর, মা খাওয়ার পর খুশি হয়ে আমার
কানের কাছে এসে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে
এই বলে দোআ করেন, “আল্লাহ্ তায়ালা
তোমাকে বেহেস্ত দান করুক এবং মুসা আঃ
এর সাথে রাখুক”! আমি এই দোআ শুনে এই ভেবে মুচকি হাসি যে, কোথায় মুসা আঃ আর কোথায় আমি।
(মায়ের উপর বউকে প্রাধান্য দিলে আল্লাহর অভিশাপ তার উপর মা বাবার মনে কষ্ট দিলে মৃত্যুর সময় মুখে কালিমা নসিব হবেনা।) তার প্রমাণ জলিলুল কদর সাহাবী আলকামা রাঃ।
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যুবক সাহাবার নাম আলকামাহ। সে বিভিন্নভাবে দ্বীনের সাহায্য করত। হঠাৎ একদিন সে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাঁর স্ত্রী কোনো এক মাধ্যমে বিশ্বনবির নিকট আলকামাহ’র অসুস্থতার সংবাদ পৌঁছায়।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ খবর শুনে হজরত আলি, হজরত বেলাল এবং হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহুমকে তাঁর অবস্থা দেখার জন্য পাঠান। তাঁর গিয়ে দেখলো, আলকামাহর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের অবস্থা। তাঁরা তাঁকে কালেমা তালকিন দিলেন অথচ কিছুতেই সে তাওহিদের কালেমা পড়তে পারছে না।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হজরত বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুকে দিয়ে এ সংবাদ পাঠানো হলো।(সংবাদ শুনে) তিনি (বিশ্বনবি) জানতে চাইলেন, আলকামাহ’র পিতা-মাতা জীবিত আছে কিনা?হজরত বেলাল জানালেন, শুধুমাত্র তাঁর বৃদ্ধা মা জীবিত আছেন।
অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত বেলালকে তাঁর মায়ের নিকট এ সংবাদ দিয়ে পাঠালেন যে, যদি সম্ভব হয় সে যেন বিশ্বনবির দরবারে আসে, আর যদি সে আসতে অপারগ হয় তবে বিশ্বনবি নিজেই তাঁর বাড়িতে যাবেন। হজরত বেলাল বৃদ্ধার কাছে গিয়ে বিশ্বনবির এ সংবাদ জানালেন।
আলকামাহ’র মা এ কথা শুনেই বললেন, আমার জীবন বিশ্বনবির জন্য কুরবান হোক। আমি নিজেই বিশ্বনবির দরবারে উপস্থি হবো।
অতঃপর বৃদ্ধা মহিলা লাঠির ওপর ভর করে বিশ্বনবির দরবারে উপস্থিত হয়ে বিশ্বনবিকে সালাম করে বসে পড়লেন।
প্রিয়নবি বৃদ্ধার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, ‘আমি যা কিছু জিজ্ঞাসা করি তার ঠিক ঠিক উত্তর দিবে। যদি মিথ্যা বল তবে আমি তা ওহির মাধ্যমে অবগত হবো। বিশ্বনবি জানতে চাইলেন, আলকামাহ’র জীবন কাল কেমন ছিল?
বৃদ্ধা বলতে লাগলো, সে বেশি বেশি নামাজ পড়ত, রোজা রাখত; আর দান-সাদকা করার ক্ষেত্রে তো সীমা ছিল না। বিশ্বনবি তাকে আবার জিজ্ঞাসা করল, তোমার এবং তাহার সম্পর্ক কেমন ছিল? বৃদ্ধা উত্তর দিল- আমি তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, কেন? বৃদ্ধা উত্তর দিল- সে তার স্ত্রীকে আমার ওপর প্রাধান্য দিত এবং স্ত্রীর কথা মতো চলত।
তখন বিশ্বনবি উত্তর দিলেন, ‘মাতার অসন্তুষ্টি তাকে কালেমা পড়া থেকে বিরত রেখেছে। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত বেলালকে বললেন, হে বেলাল! শুকনো কাঠ সংগ্রহ কর। আমি আলকামাহকে আগুনে জালিয়ে দিব।
তখন বৃদ্ধা মাতা সন্তানের কঠিন শাস্তির কথা শুনে অস্থির হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার সামনে আমার কলিজার টুকরা সন্তানকে আগুনে পোড়াবেন! আমি ইহা কিভাবে সহ্য করব?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহর শাস্তি ইহা অপেক্ষা কঠিন এবং দীর্ঘস্থায়ী। তুমি যদি চাও যে, আল্লাহ তোমার সন্তানকে ক্ষমা করুন; তাহলে তুমি তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাও। আল্লাহর শপথ করে বলছি, তোমার সন্তুষ্টি ব্যতিত তার নামাজ রোজা ও অন্যান্য ইবাদাত কোনো কাজে আসবে না।
এ কথা শুনে বৃদ্ধা বলতে লাগলো, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনাকে, আল্লাহকে এবং উপস্থিত সকলে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি আলকামাহ’র প্রতি সন্তুষ্ট।
বিশ্বনবি হজরত বেলালকে বললেন, ‘আলকামাহ’র নিকট গিয়ে দেখ সে কালেমা পড়ছে কিনা? হতে পারে বৃদ্ধা আমাদের সম্মানার্থে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে, আন্তরিকভাবে সন্তুষ্ট নয়।
হজরত বেলাল আলকামাহ’র দরজায় পৌছা মাত্র তাঁর কণ্ঠ থেকে কালেমা (لَا اِلَهَ اِلَّا الله) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করার শব্দ পেল। হজরত বেলাল ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে জানাল যে, তাঁর মা তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল বিধায় তার বাক-শক্তি রুদ্ধ হয়েছিল।
হজরত আলকামাহ এক মর্মস্পর্শী ভাষণ দেন-
হে মুহাজির ও আনসারগণ! ভালো করে শুনে রাখ! যে ব্যক্তি স্ত্রীকে মায়ের ওপর প্রাধান্য দিবে, তার ওপর আল্লাহর অভিশাপ। তার ফরজ এবং নফল আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে কবুল নহে।
(বাবা মা অবাধ্য সন্তানের জন্য
জিবরাঈল আঃ আর   রাসূল স্ময়ণ মিম্বরে উঠার সময় অভিশাপ দিয়েছেন।)
একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে নববির মিম্মারের আরোহন কালে প্রথম সিড়িতে পা মোবারক রেখে বললেন, আমিন। মিম্বারের দ্বিতীয় সিড়িতে পা মোবারক রেখে আবার বললেন, আমিন। মিম্বারের তৃতীয় সিড়িতে পা মোবারক রেখে আবার বললেন, আমিন। অর্থাৎ আল্লাহ কবুল করুন।
খুতবার আগে মিম্বারে আরোহনকালে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেন তিনবার আমিন বলেছিলেন। তা কি বান্দার জন্য কল্যাণকর নাকি বিপদের সংবাদ তা জানতে সাহাবায়ে কেরাম খুতবার পর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে কাছে জানতে চান। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইতিপূর্বে খুতবার আগে কখনো এরকমটি করেননি। বর্ণনা এসেছে-
হজরত কায়াব বিন ওজরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আমিন বলার কারণ বর্ণনা করে) বলেন, ‘এ মাত্র হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম বললেন-
> (প্রথম সিঁড়িতে পা রাখতেই জিবরিল বলল) ধ্বংসহোক সে ব্যক্তি, যে রমজান মাস পেল অথচ তার গোনাহ মাফ হলো না। আমি বললাম, আমিন।
> (দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখতেই জিবরিল বলল) ধ্বংসহোক সে ব্যক্তি, যার সামনে আপনার নাম উচ্ছারিত হওয়া সত্ত্বেও সে আপনার ওপর দরূদ পড়েনি। আমি বললাম, আমিন।
> (তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখতেই জিবরিল বলল) ধ্বংসহোক সে ব্যক্তি, যে তার পিতামাতা উভয়কে অথবা উভয়ের একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল অথচ সে জান্নাত লাভ করতে পারল না। আমি বললাম, আমিন। অর্থা আল্লাহ কবুল করুন।’ (মিশকাত)
আরও পড়ুন > বুখারি শরিফ ৪২ দিনে মুখস্থ করলেন হাবিবুল্লাহ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম থেকে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ আমলের তাগিদ লাভ করেছেন। আর যারা এ আমলগুলো থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখবেন তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবেন।
(মায়ের বদ্দোয়া থেকে নিজেকে বাঁচাও) আল্লাহ পাকের ওলী হযরত জুরাইজ নামাজ পড়ছেন মা তাকে ডাকলেন উত্তর দিতে দেরি করাতে জুরাইস মা বলল তুমি বেশ্যা নারীর ফেতনায় পড়বা ঠিক পড়লো পড়ার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন মায়ের দোয়া নিলেন সে বেশ্যা নারীর ফেতনা থেকে আল্লাহ পাক তাকে বাঁচিয়ে দিলেন।
(মায়ের দোয়া পেলে জীবন সফলতা আসবেই অনিবার্য তার প্রমাণ)
১/ইমাম আহমদ বলেন নামাজের ভিতর বাবা মায়ের জন্য দোয়া করা ওয়াজিব।এটা সে ইমাম যে ১৭ লাখ হাদীস যার মুখস্থ যিনি ফরজ নামাজ ছাড়াও দৈনিক ৩০০ রাকাত নফল নামাজ পড়তে যিমি ইমাম বুখারীর উস্তাদ ছিলেন।
২/ইমাম বুখারী মায়ের দোয়া সারাজাহান কাপানো হাদীস বিশারদ হয়েছেন সারা জাহান যার কাছে হাদীসের জন্য কৃতজ্ঞত।৬টি হাদীস গ্রন্থের ৬ জন ইমাম সবাই মায়ের দোয়ার ফসল।
৩/আমাদের মাযহাবের ৪ ইমাম মায়ের দোয়ায় আবু হানিফা,শাফী,হাম্বল,মালিক রহঃ।
৪/মায়ের জন্য সারা রাত পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন যে পীর সাহেব বায়জিদ বুস্তামি রহঃ।
৫/মায়ের দোয়া বড় পীর হলেন সারা বিশ্ব যার সুনাম ক্ষেতি ছড়িয়ে আছে তিনি হলেন আব্দুল কাদির জিলানী রহঃ।
৬/যত ভালো মানুষ আছে যত ধনী আছে যত হাফেজ  আলিম আছে সবায় মায়ের দোয়ার ফসল।
৭/ বাবা হল জান্নাতের দরজা আর মা হল জান্নাত যে কোন একজন থাকলেও তার সেবা করো একটা জান্নাতের মালিক হবা।রাসুল সাঃ বলেন মায়ের চেহারার দিকে তাকালে একটি কবুল হজ্জের সওয়াব পাওয়া যায় যতবার তাকাবা ততবার হজ্জের সওয়াব পাবা।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে পিতা মাতার হক আদায় করার তাওয়াফিক দান করুক।
লেখক হাফেজ মাওলানা নুর হোছাইন।
প্রভাষক ফেনী মডেল কলেজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Archives