টঙ্গীর যুব মহিলা লীগের শিল্পীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বাড়ীর ভাড়াটিয়ার মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ?
মোঃ জুয়েল, প্রতিনিধি
নিজ বাড়ীর দীর্ঘদিনের ভাড়াটিয়া করেছে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলাটি এতে মানহানিকর হচ্ছে আমার।
আমার লিখিত অভিযোগে পুলিশের অভিযানের পরে কেমন করে এই বানোয়াট মামলা করলো এতে আমি নিজে পড়েছি মহা বিপদে এবং কতিপয় লোকজন ফায়দা নেওয়ার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে বললেন।
গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পুর্ব থানা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী শিল্পী আক্তার।
বিষয় গুলো নিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি মতামত তুলে ধরেছে সেই মতামতটি নিচে দেওয়া হলো।
যুব মহিলা লীগের শিল্পী আক্তার
সে নিজে ও সবার নিকটে এবং রাজনীতির সংগঠনের ও প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার দাবী জানাচ্ছে।
( ঘটনাটি উদঘাটনের ও হয়রানীর বিচার হোক )
দেশের আইনের প্রতি স্যালুট ??
চোর ধরিতে গিয়ে চোর হয়ে গেলাম ??তবু ও সম্মান জানাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি।
আমার বাড়িতে ভাড়া থাকে এক তালা চাবি আলা নাম জালাল,,,, আজ ১০/১২ বছর ধরে আমার মায়ের বাড়িতেই ভাড়া থাকে। আমার ৪৮০০০০টাকার গহনা মার বারির ক্যাবিনেটের ড্রয়ার থেকে নকল চাবি বানিয়ে স্বর্ন গয়না এবং নগত ১৫০০০টাকা নিয়ে দেশে চলে যায়। যেহেতু তালার মতো তালা লাগানোই আছে আর দেশের এই অবস্থায় গহনা পড়ার মতো ও প্রয়োজন হয় নাই। সেহুতু আমার একটু বিল্মব হয়ে যায় গহনা টাকার খোজ নিতে। আমি কিছু দিন আগে গহনা বের করার জন্য ড্রয়ার খোলে দেখি আমার কিছুই নেই। বাড়ির প্রতিটি ভাড়াটিয়া কে জিগ্যাসাবাদ করার পর বানু নামে এক ভাড়াটিয়া মহিলা আমাকে জানায় চাবি ওয়ালা জালাল একটা আংটি একটা চেইন একজোড়া কানের দোল বাড়ির সামনে সবুজ নামের এক স্বর্নের দোকানদারের কাছে বন্দক দিয়ে ১০০০০ টাকা নিয়ে দেশে চলে গেছে।এটা জেনে আমি জালাল কে কিছু বুঝতে না দিয়ে আমি ওর আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে ওরে আসতে বলি ও নানা তাল বাহানা করে দীর্ঘ ২মাস পরে ওর রুমে আমার মায়ের বাড়িতে উঠে। আমি গত ৩০ জুন টংগী পূর্ব থানায় একটা অভিযোগ দেই। এবং আমার বাড়িতে পুলিশ এসে জালাল কে জিগ্যাসা বাদ করে এবং জালালের কথায় পুলিশ সন্দেহ করে এবং জালাল আরো ৪ জনের নাম বলে। ১ শাকিল ২খোকন ৩ রনি ৪কাদের। এবং আরো জানায় আশুলিয়া থানার জিরাবো ভাঙ্গা মসজিদের পাশে কাদের নামের ছেলেটি ভাড়া থাকে এবং ও সেইখানে ইয়াবার ব্যবসা করে। এবং কাদেরের ছোট ভাই হলো শাকিল। জালাল আরো বলে কিছু গহনা নাকি জালাল শাকিল কে দেয় কাদেরের কাছে বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য এবং কিছু গহনা জালাল বন্দক রেখে দেশে চলে যায় লক ডাউনের জন্য। এদিকে শাকিল আনুমানিক আরো এক দের মাস আগে ৪০০ পিস ইয়াবা নিয়ে এরেস্ট হয়। এখনো শাকিল কেরানীগঞ্জ হাজতে আছে। শাকিল,, রনি,,কাদের,,ওরা উভয়েই ভাই। ওরা ৫ টা ভাই নেশা করে এবং ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। এইসব তথ্য গুলো আমি টংগী থানায় জানাই এবং পুলিশকে অনুমতি দেওয়া হয় আশুলিয়া থানায় বিষয় টি জানিয়ে আসামি কাদের কে গ্রেফতার করার জন্য। এই মতে আমরা টংগী পূর্ব থানার পুলিশ শাকিল,,,রনি,,, কাদেরের মা সহ আশুলিয়া জিরাবোতে যাই। আসামী কাদের পুলিশের গাড়ি দেখে পালিয়ে যায় এবং তার ঘর তল্লাশি করে অনেক গুলো ছিনতাই করা ভাঙ্গা মোবাইল এবং কয়েক পিছ ইয়াবা এবং ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম সহ কিছু কাগজে লিখা কতোপিছ ইয়াবা কতোটাকায় বিক্রি এবং কতো টাকা দামে দিছে এইসব কাগজ পাওয়া যায়। এবং আশে পাশের লোকজন এবং একি বারিতে থাকা কিছু ভাড়াটিয়া আরো তথ্য দেয় কাদের ঐ এলাকার বড় ইয়াবার ব্যবসায়ী।আমরা আসামী না পাওয়ায় এবং মূল বিষয়টি প্রমানিত না হওয়ার কারনে জালালকে থানায় দেওয়া হয়নি।
যেহেতু জালাল আমার মায়ের বাড়িতে ওর নিজ ভাড়া ঘরেই আছে এবং নিজের মুখের স্বীকারোক্তিতে জিনিস টাকা জালালই চুরি করেছে। সেহেতু ও যেনো পালিয়ে না যায় এবং খোকন,,, রনি ও ঘটনার সাথে জড়িত তাই আমি ওদের ৩ জনকেই নজরদারিতে রাখি। আসামী খোকন এবং রনির মা স্থানীয় কিছু লোকের উসকানিতে আমার পূর্বের শত্রুতার জের ধরে প্রতিশোধ মূলক ভাবে ওদের কে ব্যবহার করে আমার নামে এবং আমার ভাইয়ের নামে মিথ্যা অপহরন এবং চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করে।
আমার ভাই মুন্না এই ঘটনার আগের দিন কুমিল্লা এক বন্ধুর বাড়িতে যায় এবং আসে মঙ্গলবার রাতে। আমি এই হয়রানির এবং ষড়যন্ত্র মূলক মামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ যানাচ্ছি।
এবং ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত করার অনুরোধ করেছে
টঙ্গী পুর্ব থানা থানা যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী শিল্পী আক্তার।