লিলি এ্যাপারেলস লিঃ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাদি না দিয়ে মিথ্যা মামলা, বেআইনীভাবে কারখানা বন্ধ, বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে মানববন্ধন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবরে স্মারকলিপি পেশ
আজ ১২ জুলাই ২০২০ইং রোজ রবিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ তৃণমুল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এর উদ্যোগে লিলি এ্যাপারেলস লিঃ কর্তৃক শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি, বেআইনীভাবে কারখানা বন্ধ ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে মিছিল সহকারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তৃণমুল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এর সভাপতি মো. শামীম খাঁন। বক্তব্য রাখেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন সহিদ, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর শেখ লালন, মো. সুজন, ফরিদুল, মামুন, শাহীন, মাসুদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, লিলি এ্যাপারেলস লিঃ গত ঈদুল ফিতর এর অর্ধেক বোনাস প্রদান করেন বাকি অর্ধেক বোনাস আজ অবধি শ্রমিকদের প্রদান করেনি। অত্র কারখানায় বাৎসরিক ছুটির টাকা জুন মাসের মধ্যে প্রদান করার কথা থাকলেও তা প্রদান করেনি এমনকি অনেককে বাৎসরিক ছুটির টাকা কখনই প্রদান করেনি। অত্র কারখানায় নারী শ্রমিকদের মাতৃকালীন ছুটির টাকা প্রদান করা হয় না। প্রতি মাসে আমাদের ওভারটাইমের টাকা কেটে নেয়া হয়। আমরা ০৮/০৭/২০২০ ইং তরিখ প্রতিদিনের মত অফিসে আসি অফিসে এসে জানতে পারি কারখানার মালিক পরিবর্তন হচ্ছে আমরা সকাল ৯ঃ৩০ মিনিটে আমাদের সকল পাওনাদি চাইতে এ্যাডমিন জিএম মোঃ জাহিদ এর কাছে গেলে এ্যাডমিন জিএম জাহিদ ও ডেপুটি ফ্যাক্টরী ম্যানেজার ওমর আলী আমাদের কারখানার মালিক পরিবর্তন হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। আমরা আমাদের আইনানুগ সকল পাওনাদি বুঝিয়া চাইলে এ্যাডমিন জিএম জাহিদ ও ডেপুটি ফ্যাক্টরী ম্যানেজার ওমর আলী কোন পাওনাদি পরিশোধ করা হবে না বলে জানায়, আমরা তাদেরকে জানাই যেহেতু কারখানার মালিক পরিবর্তন হইতেছে সেহেতু আমাদের আইনানুগ সকল পাওনাদি বুঝিয়া না দিলে আমরা কাজ করব না। এ্যাডমিন জিএম জাহিদ ও ডেপুটি ফ্যাক্টরী ম্যানেজার ওমর আলী আমাদের মেরে ফেলার ও পুলিশে দেবার হুমকী দেয়। তার কিছু সময়ের মধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের লেলিয়ে দেয়া কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী কারখানায় ঢুকে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে নারী শ্রমিক রাবেয়াসহ ২০/৩০ জন শ্রমিককে গুরতর আহত করে। আহতরা বর্তমানে সকলেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। মালিক কর্তৃপক্ষ তাতেও ক্ষান্ত হয়নি পরদিন আমরা প্রতিদিনের মত কারখানায় গেলে কারখানার গেইট কারখানা বন্ধ দেখতে পাই। ০৯/০৭/২০২০ মালিক কর্তৃপ্ক্ষ বেআইনীভাবে কারখানা বন্ধ রেখে আমাদের শ্রমিকের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমাদের তিনজন শ্রমিককে গ্রেফতার করিয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বর্তমানে আমরা ১৬০০ জন শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের কারখানার মালিকের এমন আচরন বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ও মানবধিকার পরিপন্থি।
( মুহাম্মাদ মহাসিন,আপডেটে) বার্তা বিভাগ।