দুটি কিডনি হারিয়ে সোহেল এখন মৃত্যুপথের যাত্রী। ২০১৬ সালে প্রথম কিডনি জটিলতা ধরা পড়ে। ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে সোহেলের দরিদ্র কৃষক বাবা আজ পথে বসতে চলেছেন।
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান সোহেল।
জীবনের গল্প বলতে বলতে সোহেল বলেন, আমার বাবা কৃষক এবং বিলে মাছ ধরে সংসার চালান। ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাই, যা এ গ্রামে প্রথম। সব বন্ধুই গ্রামের বাইরে লেখাপড়া করতে যায় কিন্তু আমি গ্রামেই থেকে যাই। কারণ পরিবারের সাধ্য ছিল না বাইরে লেখাপড়া করার মতো ব্যয়ভার বহন করার।
কোনোমতে সরকারি লালন শাহ কলেজে ভর্তি হই। ২০১৩ সালে কলেজে সর্বোচ্চ রেজাল্ট জিপিএ- ৪.৯০ পাই। এসময় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে। বাবাকে রাজি করিয়ে যাই ঝিনাইদহে কোচিং করার জন্য।
কোচিংয়ের স্যারদের সহায়তায় প্রথমবারেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (আইন ও ইংরেজি) চান্স পাই। পরিবারের ইচ্ছাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হই।
টিউশনি করে সবকিছু ভালভাবেই চলছিল। তবে দ্বিতীয় বর্ষ শেষ হতেই জানতে পারি আমার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
এসময় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সোহেল বলেন, স্বপ্ন ছিল অন্তত বিসিএসের ভাইভা বোর্ড পর্যন্ত যাওয়ার। কিন্তু জীবনে চলে আসল মরণব্যাধি ডায়ালাইসিস, যা আর শেষ হলো না। শেষ হল জীবনের স্বপ্ন এবং সর্বস্বান্ত হল আমার পরিবার। আমার জন্য আমার পরিবার এখন ধ্বংসের পথে প্রায়।
পরিবার স্বপ্ন দেখত আমি পরিবারের হাল ধরবো। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন মৃত প্রায়। আমিও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
সকলের সাহায্য-সহযোগীতায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে আরো কিছুদিন বাঁচতে চাই। এই মুহুর্তে ২০ লাখ টাকা জোগাড় করা দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার অনুরোধ আমাকে বাঁচাতে সহযোগীতা করুন।
সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ও সহযোগীতার হাত বাড়াতে নিম্নোক্ত নাম্বারগুলো দেয়া হলো-
মোবা: ০১৭৪৩৭০০৫৪৭ (সোহেল রানা)
০১৭৪৩৭০০৫৪৭(বিকাশ)
০১৭৪৩৭০০৫৪৭৮(রকেট)
০১৯১৫৫১৯৪৮৭(নগদ)
ডাচ্-বাংলা: ৭০১৭০১৫৪৮৫৪৯৫ (এজেন্ট ব্যাংকিং)
সোনালী ব্যাংক: ২৪০৫৯০১০১২৯৩২ ব্রাঞ্চ: হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ