সারওয়ার আলম বকুল, কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি
কাউনিয়ার বিভিন্ন রাস্তার ২৮টি ব্রীজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ
সারওয়ার আলম মুকুল,কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ কাউনিয়া উপজেলায় ১টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন কাচা-পাকা রাস্তায় কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজ-কালর্ভাট গুলোর মুখ কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা কারনে অকারনে মাটি দ্বারা ভরাট করায় তা জনগনের কোন কাজে আসছে না। এতে একদিকে যেমন সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে অন্য দিকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ব্রীজ-কালর্ভাটের মুখ একের পর এক বন্ধ করা হলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার এমন কি প্রশাসনও তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। এসব কারণে দিনদিন ব্রীজ-কালর্ভাটের মুখ বন্ধের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ২৭টি ব্রীজ-কালর্ভাটের মুখ মাটি দ্বারা বন্ধ করে দিয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দোকান, বাড়ী-ঘর, মৎস্য খামার, মৎস্য হ্যাচারী নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে টেপামধুপুর বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তায় ২টি, স্টেশন রাস্তায় ১টি, হরিশ্বর গ্রামে ২টি, হরিচরণশর্মা রাস্তার ১টি, থানা রোর্ডে ১টি, রাজিব গ্রামে ৩টি, মীরবাগ বাজারে ১টি ব্রীজের মুখ মাটি দ্বারা বন্ধ করায় তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আঃ মোতালেব সরকার খুলে দিলেও পরবর্তিতে তা আবার বন্ধ করে দিয়ে কেউ দোকান, কেউবা বাড়ি আর কেউবা মাছ চাষ করছে। হারাগাছে একতা বাজার রাস্তায় ৩টি, হারাগাছ মীরবাগ পাকা রাস্তায় ৩টি, শহীদবাগ বাজার রাস্তায় ১টি, হারাগাছ পৌর সভার হক বাজারে ১টি, সারাই ভগিরত মাছহারী গ্রামের রাস্তায় ২টি, কুর্শা ইউনিয়নের উকিলের দিঘির রাস্তায় ১টি, ইন্ডিয়াটারী রাস্তার ২টি, সিংগিমারীর দোলায় রাস্তায় ২টি, গোড়াই গ্রামের ২টি ব্রীজের মূখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় থাকা প্রভাব শালী ব্যাক্তিরা সরকারের অনেক টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজ-কাল ভার্টের মূখ বন্ধ করে দেওয়ায় বর্ষা কালে শত শত একর জমির ফসল তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্থানীয় জনসাধারণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিভিন্ন সময়ে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাননি। স্থানীয় ঠিকাদার আঃ রহিম জানায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রীজ-কালর্ভাট গুলো নিলামে দিলেও সরকারের রাজস্ব আয় হতো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন জানান, বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবাহের জন্য নির্মিত ব্রীজ-কালর্ভাট গুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবীব বলেন এ উপজেলায় ঠিক কতটা ব্রীজের মুখ বন্ধ রয়েছে এ পরিসংখ্যান তার দপ্তরে নাই। ব্রীজের মুখ খোলা রাখার ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নাই। এ বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করবে। উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, স্থানীয় জনগনের চাহিদার ভিত্তিতেই ব্রীজ-কালর্ভাট গুলো ণির্মান করা হয় কিন্ত পরবর্তিতে ওই স্থানীয় জনগনই ব্রীজ-কালর্ভাটের মুখ বন্ধ কওে দেয়। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না। নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান আমি সদ্য যোগদান করেছ্,ি খোঁজ খবর নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।