এমপি জিল্লুল হাকিমকে নিয়ে অসত্য প্রতিবেদন!
রাজবাড়ি ২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমকে নিয়ে একটি অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া নিয়ে তোলপাড় চলছে এলাকায়। গত শনিবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি ছত্রে ছত্রে ভুল ও অসত্য কথামালায় ভরপুর।ঢাকায় বসে এমন ভুলে ভরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নিয়ে কথা উঠেছে ওই পত্রিকাটির মান মর্যদা ও সাংবাদিকতার ধরন নিয়ে। এতে সত্য-অসত্যর মুখোমুখি দাড়ঁ করানো হয়েছে সাংবাদিকতাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজবাড়ি ২ আসনের এমপি জিল্লুল হাকিমের কারনে না কি এলাকার আওয়ামী লীগের অনেক লোক এলাকায় যেতে পারে না? কারা কারা এলাকায় যেতে পারে না,তাদের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত নামগুলো দেখে তুমুল হৈচৈ শুরু হয়েছে এলাকায়।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পাংশা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাদের মুন্সী নাকি জিল্লুল হাকিমের সন্ত্রাসের কারনে এলাকায় যেতে পারছেন না? অথচ আজ থেকে আরো সাত বছর আগে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন নাদের মুন্সী। নাদের মুন্সীর মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তার ছেলে হেনা মুন্সী। তিনিও মেয়াদ শেষ করার পর নতুন নির্বাচনে পাংশা উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন জালাল নামের একজন।
অথচ অনুসন্ধানী প্রতিবেদক লিখে দিয়েছেন এমপির কারনে নাদের মুন্সী এলাকায় যেতে পারছেন না। পুরো প্রতিবেদনের ছত্রে ছত্রে ভুলে ঠাসা, অনির্ভরযোগ্য মিথ্যে তথ্যে ভরা।ঢাকায় বসে মানুষের দেয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করলে যা হয়,এখানেও তাই হয়েছে। প্রতিবেদনে দু’টি নামের কথা বলা হয়েছে একজন সোহেল রানা টিপু অন্যজন নুরে আলম সিদ্দিকী হক। সোহেল রানা টিপুর পরিচয় দেয়া হয়েছে টিপু নাকি কালুখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদ। বাস্তবে সোহেলে রানা টিপু স্বেচ্ছা সেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির গতবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ। তাকে নামিয়ে বানিয়ে দিয়েছেন একটি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। নুরে আলম হকের পরিচয়ে বলা হয়েছে তিনি নাকি কালুখালী উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি। বাস্তবে নুরে আলম সিদ্দিকী হক কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। হক বিগত উপজেলা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। এলাকায় না থাকলে তিনি নির্বাচন করলেন কি ভাবে? সোহেল রানা টিপু তো করোনার সময়েও এলাকায় গিয়ে ত্রান দিয়েছেন।প্রকাশিত প্রতিবেদনে এলাকায় যেতে পারেন না বলে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে সাত বছর আগে মারা যাওয়া লোকের নাম যেমন রয়েছে তেমনি এমন অনেকের নাম রয়েছে যারা এখনো পাংশা এলাকায় বসবাস করছেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাংশার একজনের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের একটি ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতা। পেশায় চিকিৎস। তার বাবা ছিলেন জামাতের এমপি। পাংশায় বসবাসকারী তার ভাইবোন সবাই জামাত ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওই লোকের এক চাচা ছিলেন একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার। হাজার হাজার অপকর্মের জন্য একাত্তর সালে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই নেতা মনে করেন তার রাজাকার চাচাকে হত্যা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম। আওয়ামী লীগের বাইরে থেকে জিল্লুল হাকিমের কোন ক্ষতি করা যাচ্ছিলো না বলে নানা কৌশলে ডাক্তার নেতা ঢুকেছে আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগে ঢুকে এখন কোমরবেধে মাঠে নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে একাত্তরের প্রতিশোধ নিতে।মিডিয়ার কতিপয় অপসাংবাদিকদের কিনে লাগাতার অপপ্রচার চালাচ্ছেন জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করা শিবির থেকে আসা সাংবাদিকদের দিয়ে এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন তিনি। ওই ডাক্তার নেতার চাচা কায়সার মিয়ার নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালে হামলা করা হয়েছিলো আওয়ামী লীগের ওপর। পাংশা থেকে আওয়ামী লীগকে চিরতরে মুছে ফেলার ঘোষনা দিয়েছিলেন কায়সার মিয়া- সেদিন আওয়ামী লীগকে যুদ্ধ করে টিকিয়ে রেখেছিলেন জিল্লুল হাকিম। সে কারনে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন ওই ডাক্তার।
( মুহাম্মাদ মহাসিন,বার্তা বিভাগ)