শিরোনাম
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বরুড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বরুড়া থানা”র ওসি প্রত্যাহার জামালপুরে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরু  বকশীগঞ্জে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু  ইসলামপুরে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন খুশি বেগম মেলান্দহে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যা জামালপুরে যুব সমাজই পরিবর্তনের অগ্রদূত শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ‘র কুমিল্লা বিভাগীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন” জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ‘র কুমিল্লা বিভাগীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন” মেলান্দহে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১লা মে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত

কুমিল্লায় কথিত জ্বীনের বাদশা মোঃ জাকির হোসেন গ্রেফতার।

71Times / ৬৮৩৮ Time View
Update : রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

কুমিল্লায় কথিত জ্বীনের বাদশা মোঃ জাকির হোসেন গ্রেফতার।
সাইফুল ইসলাম ফয়সাল:
পৃথিবীর সকল সমস্যার সমাধান দাতা জাকির@জ্বীনের বাদশা তথাকথিত পাতিল বন্দী জ্বীনসহ র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-২ কর্তৃক আটক। প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া অদৃশ্য সম্পদ সনাক্ত
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র‌্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
জনৈক ভুক্তভোগি দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়ি চাঁদপুর কচুয়া হতে ছেলে মেয়েদের ভালো পড়াশোনা নিশ্চিতের জন্য ২০১৩ সালে নারায়নগঞ্জে বসবাস শুরু করে। স্বামি প্রবাসী হওয়ায় ২০২০ সালের অক্টোবরে করোনাকালে তাৎক্ষনিক বিভিন্ন সহযোগীতা প্রাপ্তির আশায় জাকির হোসেনের সাথে আনোয়ারা মঞ্জিল ২৫৩/পাইনাআদি,নতুন মহল্লা, আবাসিক এলাকা সিদ্দরগঞ্জ নারায়নগঞ্জের বাসার ৬ষ্ঠ তলায় সাবলেটে উঠেন।সাবলেট প্রতিবেশীর সাথে স্বভাবতই ভাব জমে ওঠে তার৷ সে বছরেরই কোন এক দিন আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জনৈক ভুক্তভোগির নিজের একটি শারিরীক ব্যাধির কথা জানান সাবলেট প্রতিবেশী নারীকে। সেই নারী তাকে অভয় দিয়ে বলেন তার কাছে রয়েছে মুশকিল আসানের উপায়। কারণ তার স্বামীই নাকি বিভিন্ন রোগের ঝার ফুঁক করেন! অল্পশিক্ষিত জনৈক ভুক্তভোগিবিষয়টিতে আগ্রহ দেখান। প্রতিবেশী নারীর স্বামী জাকির হোসেনের শরণাপন্ন হন তিনি। কেবল ঝাড়ফুঁকেই তুষ্ট হয়ে জাকিরের প্রতি অগাধ ভক্তি জমে তার। ওদিকে নতুন ভক্ত পেয়ে জাকির খুলে দেয় তার অগাধ শক্তির ডালা। জনৈক ভুক্তভোগিকে সে জানায় তার ওপর ভর করে জ্বীনের মহান বাদশা। ডাকলেই জাকিরের কাছে চলে আসে একের পর এক জ্বীন। আর তাদের মাধ্যমেই অনেক অসাধ্য সাধন ও রোগের চিকিৎসা করেন তিনি৷জনৈক ভুক্তভোগি এসব জেনে ভক্তিতে শ্রদ্ধায় পুরোপুরি দূর্বল হয়ে পড়েন কথিত জ্বীনের বাদশা জাকিরের ওপর।
তাই এবার নিজ মেয়ের একটি সমস্যা নিয়ে আবারও তিনি জাকিরের কাছে যান। তবে জাকির এবার ঝাড়ফুঁক নয়।করতে চান আরো বড় কিছুর আয়োজন। প্রাথমিকভাবে নিজ খরচেই ব্যবস্থা করেন জ্বীন আমন্ত্রণের আয়োজন।কিন্তু প্রথমবার কথিত জ্বীন এসে যা বলে গেলো তাতে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় জনৈক ভুক্তভোগি পরিবারে। আবারো তিনি শরণাপন্ন হন জাকিরের। কারণ তার ধারণা সমস্যার সমাধান না করলে মেয়ের ঘোর বিপদ অবশ্যম্ভাবী। জাকির জানান আবারো তিনি জ্বীনের বাদশাকে ডাকবেন। আবারো আসরের আয়োজন করতে হবে। কিন্তু এবার বিনা খরচে জ্বীনের বাদশা আসবেন না। লাগবে ৫ লক্ষ টাকা। অন্ধভক্ত জনৈক ভুক্তভোগি মেয়েকে বাঁচাতে তাতেই রাজী হয়ে গেলেন। জাকিরের হাতে তুলে দিলেন ৫ লক্ষ টাকা। এবার জাকির আবারো জ্বীনের বাদশাকে আমন্ত্রণের আয়োজন করলো। পূর্ব নির্ধারিতভাবেই ফের জ্বীনের বাদশা জাকিরের শরীরে ভর করলো। এবার জ্বীনের বাদশা জাকিরের মুখ দিয়ে বললো-জনৈক ভুক্তভোগি মেয়ের ওপর ভর করা সেই বদজ্বীনকে পাতিলবন্দী করতে হবে। শুধু তাই নয় জ্বীনের বাদশা আরো জানালো জনৈক ভুক্তভোগি অন্যান্য ছেলেমেয়ের মধ্যেও আরো কয়েকটি ভয়ংকর খন্নাস জ্বীন ভর করে আছে। কুমিল্লায় কথিত জ্বীনের বাদশা মোঃ জাকির হোসেন গ্রেফতার
পাতিলবন্দী করতে হবে তাদেরও! যার জন্য প্রয়োজন তিন মাসের মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা। নয়তো কয়েক দিনের মধ্যেই পুরো পরিবারকে একে একে মেরে ফেলবে সেসব বদজ্বীনেরা। অন্যদিকে যদি বদজ্বীন বিতাড়িত হয়ে যায় তবে জনৈক ভুক্তভোগিপাবে জীনদের লুকায়ীত গুপ্তধন। সন্তানদের প্রান বাঁচাতে ও গুপ্তধনের লোভেনিজের সকল গহনা, জমানো টাকা ও আত্নীয়দের নিকট হতে ধার করে তিন মাসের মধ্যেই ২৫ লাখ টাকা জাকিরের হাতে তুলে দেন জনৈক ভুক্তভোগি আর বদজ্বীনরাও হয় পাতিলবন্দী। বদজ্বীন বন্দী সেসব মাটির পাতিল নিজ চোখে দেখে বেশ তৃপ্ত হন জনৈক ভুক্তভোগি। এরই মধ্যে জানুয়ারি ২০২১ সালে জনৈক ভুক্তভোগি বাসা পরিবর্তন করে একই এলাকায় হোল্ডিং নং-১৬৩, ব্লক-সি পাইনাদি নতুন মহল্লা সিদ্দিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জের বাসায় উঠেন। মার্চ ২০২১ইং তারিখে চাঁদপুর কচুয়া গ্রামের বাড়ি থেকে জনৈক ভুক্তভোগির বাসায় বেড়াতে আসে তার বোনের মেয়ে। জাকিরের চোখ পড়ে বোনের মেয়ের দিকে। কারণ এবার বোনের মেয়ে ওপরও ভয়ংকর জ্বীনের আছর দেখতে পেয়েছেন তিনি! বিষয়টি তিনি একান্তে জনৈক ভুক্তভোগিকে ডেকে জানান। বোনের মেয়ের এমন বিপদে আবারো বিমর্ষ হয়ে পড়েন রোমানা। বোনকে জানান তার মেয়ের বিপদের কথা! বোনও আতঁকে ওঠেন এমন আচমকা বিপদ সংকেত পেয়ে। তবে এবার জনৈক ভুক্তভোগি তার বোনকে অভয় দিয়ে বললেন মুশকিল আসানের উপায়। জানালেন জাকিরের কেরামতির কথা। তাই রোমানার সেই বোনও এবার শরণাপন্ন হলো জাকিরের। জাকিরের মাধ্যমে কথিত জ্বীনের বাদশা জানালো আবুল খায়েরের ছেলে মেয়েদের ওপর ভয়ংকর জ্বীনের আছর আছে। সেসব জ্বীনকে শীঘ্রই পাতিলবন্দী করতে না পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। এসব শুনে বেশ ঘাবড়ে গেলেন গ্রাম্য আবুল খায়ের। তবে জ্বীনের বাদশা আশার বাণীও শোনালেন। কৃষক আবুল খায়েরের মধ্যে নাকি জ্বীনের বাদশা এক অলৌকিক চিহ্ন দেখতে পেয়েছে। কিছু সাধনা করলে আবুল খায়ের হয়ে যেতে পারবেন অদৃশ্য জগতের মহা ক্ষমতার অধিকারী। তখন সে যা চাইবে তাই হবে। ছেলে মেয়েদের জীবন বাঁচানোর জন্য ও অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার জন্য জমানো অর্থ, জমি-জামা বিক্রি ও লোন করে ০৬মাসে বিভিন্ন ধাপে জাকিরের হাতে তুলে দেন ৫০ লক্ষ টাকা।বিভিন্ন ধাপে টাকা প্রাপ্তিতে জাকির পূর্ব পদ্ধতি অবলম্ভন করে একে একে সব কটি জ্বীনকে পাতিল বন্ধি করে। তবে খায়ের সাহেবের অলৌকিক শক্তি প্রাপ্তির অপেক্ষা শেষ হয় না। এমতাবস্থায় খায়ের সাহেব জাকিরের সাথে যোগাযোগ করলে জাকির জানায় খায়ের সাহেবকে অলৌকিক শক্তির অধিকারী করার জন্য জাকিরকে ১০০টি নদীর পানিতে শুকর ও চিলের হৃদপিন্ড দিয়ে সাধনা করতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন আরও ২০ লক্ষ টাকা। টাকা সংগ্রহের কোন পথ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Archives