শিরোনাম
জামালপুরে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরু  বকশীগঞ্জে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু  ইসলামপুরে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন খুশি বেগম মেলান্দহে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যা জামালপুরে যুব সমাজই পরিবর্তনের অগ্রদূত শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ‘র কুমিল্লা বিভাগীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন” জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ‘র কুমিল্লা বিভাগীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন” মেলান্দহে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১লা মে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত মেলান্দহ থানার ওসির নেতৃত্বে ১১ কেজি গাঁজা সহ গ্রেপ্তার -৩ অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপরে সন্ত্রাসী হামলা বাড়িঘর লুট ও ভাঙচুর প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান

“বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শর্তভঙ্গ করে পদোন্নতির অভিযোগ”

71Times / ৮৮২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শর্তভঙ্গ করে পদোন্নতির অভিযোগ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের এ এইচ এম কামালের বিরুদ্ধে শর্তভঙ্গের মাধ্যমে পদোন্নতির  অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, এ এইচ এম কামাল সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন আট বছর ১১ মাস শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা দেখিয়ে। অথচ আপগ্রেডেশন নীতিমালা অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক পদে আপগ্রেডেশনের জন্য প্রয়োজন ছিল সহকারি অধ্যাপক পদে সাত বছরের অভিজ্ঞতা সহ মোট ১২ বছরের অভিজ্ঞতা । জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এ এইচ এম কামাল সহকারি অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ হওয়ার পূর্বে USTC নামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছয় বছর ৫ মাস দুই দিন। যার মধ্যে বিনা বেতনে ছুটি নিয়ে এমএসসি করতে যান দুই বছরের জন্য। নীতিমালা অনুযায়ী এ ২ বছর বাদ দিয়ে এবং ৭০% হিসেব ধরে তার প্রভাষক হিসেবে শিক্ষাকতা অভিজ্ঞতা হয় ৩ বছর ১ মাস। পরবর্তীতে এ এইচ এম কামাল  UNDSS নামক প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা হিসেবে দুই মাস ২৫ দিন সময়কে দেখিয়েছেন । যেহেতু, UNDSS কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় সেহেতু এই সময়কালে অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য হবে না এবং এই সময়টি হবে উনার ব্রেক অফ সার্ভিস। এর পরেই তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সহকারি অধ্যাপক হিসেবে পাঁচ বছর ১০ মাস ২৪ দিন শিক্ষকতা করেন। প্রভাষক এবং সহকারী অধ্যাপক অবস্থায় তার শিক্ষকতার হিসেব অনুযায়ী আট বছর ১১ মাস ২৪ দিনের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে তিনি সহযোগী অধ্যাপক হন ০৮-০৩-২০১৪ সালে । এক্ষেত্রে তিনি অতিরিক্ত প্রকাশনা এবং সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্বের রেয়াত চেয়ে সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে আপগ্রেডেশনের এর আবেদন করেন। অথচ তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদে ফ্রেস পদে নিয়োগ পান যদিও কোনভাবেই ফ্রেস পদে নিয়োগের শর্ত পূরণ করে না। ফ্রেস পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে USTC তে  প্রভাষক হিসাবে ০৪ বছর ০৫ মাস ০২ দিন এর ১০০% বিবেচ্য হলে মোট অভিজ্ঞতা হবে ১০ বছর ০৩ মাস ২৬ দিন।

পুনরায় অতিরিক্ত প্রকাশনা এবং সহকারী প্রক্টর হিসাবে দায়িত্বের রেয়াত চেয়ে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে আপগ্রেডেশনের আবেদন করেন। আপগ্রেডেশন নীতিমালা অনুযায়ী পিএইচডি ডিগ্রীধারীদের ক্ষেত্রে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে আপগ্রেডেশনের জন্য প্রয়োজন সহযোগী অধ্যাপক পদে ০৪ বছর সহ মোট ১২ বছরের অভিজ্ঞতা। সেই সাথে সহযোগী অধ্যাপক পদে ০৪ টি প্রকাশনা সহ মোট ০৮ টি প্রকাশনা। পিএইচডি ডিগ্রী না থাকলে প্রয়োজন ছিল সহযোগী অধ্যাপক পদে ১০ বছর সহ মোট ২০ বছরের অভিজ্ঞতা। যেহেতু তিনি পিএইচডি ডিগ্রী নিয়ে আবেদন করেছেন কাজেই ওনার প্রয়োজন ছিল সহযোগী অধ্যাপক পদে ০৪ বছর সহ মোট ১২ বছরের অভিজ্ঞতা এবং সহযোগী অধ্যাপক পদে ০৪ টি প্রকাশনা। যেখানে সহযোগী অধ্যাপক পদে (০৮-০৩-২০১৪ থেকে ০৭-০১-২০১৫ পর্যন্ত = ১০ মাস সময়ের মধ্যে) ছিল মাত্র ০১ টি প্রকাশনা এবং তিনি পিএইচডি’র সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন ১২-০৩-২০১৮ তারিখ। অতএব পিএইচডি’র সাটিফিকেট জমা দেয়ার পূর্ব থেকে অর্থাৎ ১২-০৩-২০১৮ তারিখের পূর্বে অধ্যাপক পদের জ্যেষ্ঠতা পাবার সুযোগ নেই। কিন্তু তিনি অধ্যাপক পদে জ্যেষ্ঠতা পেয়েছেন ০৮-০১-২০১৫ তারিখ থেকে যা কোনভাবেই বিধিসম্মত নয়। এছাড়াও সহযোগী অধ্যাপদ পদে চাকুরী নিশ্চিতকরণের পূর্ব থেকে তিনি জ্যেষ্ঠতা পেয়েছেন যেটিও নিয়ম বহির্ভুত।

আবার অধ্যাপক থেকে ২য় গ্রেডের অধ্যাপক পদে আপগ্রেডেশনের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজন অধ্যাপক পদে ০৪ বছরের অভিজ্ঞতা। কাজেই ১২-০৩-২০১৮ + ০৪ বছর = ১২-০৩-২০২২ তারিখের পূর্বে ২য় গ্রেডের অধ্যাপক পদে উন্নীত হবার সুযোগ নেই কিন্তু তিনি পেয়েছেন ১৩-০৮-২০১৯ তারিখ থেকে যা বিধিসম্মত হয়নি। এক্ষেত্রে তার বিভিন্ন পদে পদোন্নতি নীতিমালা মেনে করা হয়নি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পরিপন্থী কাজ করেছেন যা কখনো একজন শিক্ষকের কাছে কাম্য নয়।

এ বিষয়ে এ এইম এম কামালকে  একাধিক বার ফোন করে পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Archives