নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলাকে বলা হয় দ্বীপ জেলা ভোলা। ভোলার শত শত বিগা জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। অনেক আন্দোলন তিতিক্ষার ফলে ভোলাবাসী তাদের কাঙ্ক্ষিত সেই ব্লক নদী রক্ষা বাদ স্থাপন করেন ভোলার ০১ আসনের সংসদ আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল ব্লক পাড়ের উপরে গড়ে তুলছেন, মার্কেট এবং রিসোর্ট। স্থানীয় এক বাসীন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়। তিনি বলেন ব্লক পাড় পুরোটা দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী একটি মহল তারা বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন এবং অন্যের জমি দখল করে হোটেল মার্কেট গড়ে তুলেছেন এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় নতুন আওয়ামী লীগের নাম লেখা নেতা হাসান কেরানী ও ভূমিদস্যু যাকে বলা হয় আলাউদ্দিন নামে পরিচিত। আলাউদ্দিন তিনি ইলিশা লঞ্চ ঘাটের পাশে ব্লক এর উপর বিশাল মাছ বাজারের নিয়ন্ত্রণ করেন এবং অন্যের জমি দখল করে হোটেল করেছেন জানা যায়। প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে ইলিশা লঞ্চ ঘাটটি এখন হুমকির মুখে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ইলিশ বাসীর আশঙ্কা। ইলিশা বাসীর একটাই চাওয়া ব্লক পাড় থাকবে স্বচ্ছ ও সুন্দর। সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ থাকবে নদী। কোন ভূমিদস্যু দখলবাজদের হাতে যেন ব্লক পাড় না যায় তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।একবছর আগে উচ্ছেদ অভিযান এ সাধারণ ব্যাবসায়ীরা ব্যাবসা ছেড়ে পথে পথে ঘুরলে ও এক বছরের ব্যবধানে সেই সব দোকানের জায়গা এখন প্রভাবশালীদের দখলে নিয়েছে স্হানীয় বাসীন্দাদের দাবী। ইলিশার স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনের এই ফসল জননেতা জননেতা তোফায়েল আহমেদের কারণে ইলিশা ব্লক দিয়ে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু প্রভাবশালী একটি মহল তারা ব্লকের উপরে গড়ে উঠেছে বিশাল মার্কেট,মররমা রিসোর্ট ব্যবসা, মাছের বাজার, জুয়ার আসর, আজ নদীর পাড় হয়ে গেছে দূষিত একটি স্থান অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু। নদী সৌন্দর্য রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কে নদীর সৌন্দর্য রক্ষার্থে ব্লকের উপর যে সকল স্থাপনা রয়েছে সে সকল স্থাপনা সরিয়ে দিতে আমরা অনুরোধ করছি। ২ নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন কিছুদিন আগে মেঘনার পাড় নামে একটি রিসোর্ট উদ্বোধন করা হয় ব্লক এর উপরে। দুঃখের বিষয় ওইখানে উদ্বোধন করেন পৃর্ব ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ারদী মাস্টার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আনোয়ার হোসেন ছোটন। এরকম আওয়ামী লীগ নেতারা যদি এদেরকে প্রশ্রয় না দিত এরা কখনো ব্লক পাড় দখল করে বাণিজ্যে মেতে উঠতে পারতোনা। আমাদের একটাই চাওয়া ইলিশার নদীবন্দর ব্লক পাড় হোক দখলমুক্ত নদীর সৌন্দর্য ফিরে আসুক তার অনাবিল সৌন্দর্য।