হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি : এস এম আজিজুল হাকিম (শিমুল) শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলাতে সীমান্তবর্তী এলাকার গ্রামগুলোতে প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই বন্য হাতির আক্রমণ শুরু হয়। দিনের বেলা বন্যহাতিগুলো পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে অবস্থান করে সন্ধ্যা হলেই বন্য হাতিগুলো দলবেঁধে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে আক্রমণ শুরু করে বন্য হাতি পালাক্রমে খাবার সংগ্রহের জন্য বাড়ি ঘরে ও আবাদী আমন ধান খেতে অবস্থান করে কাঁচা থোর ধান ও বাড়ি ঘরের গাছপালা খেয়ে ফেলছে ও পা দিয়ে মারিয়ে নষ্ট করছে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের গোপালপুর বিড অফিস সংলগ্ন মায়া ঘাশি ফেকামাড়ি তারানী কালাকুমা নয়াবিল ইউনিয়নের নাকুগাঁ দাওধারা কাটাবাড়ি ডালুকোনা পোড়াগাঁও ইউনিয়নের আন্দারুপাড়া খলচান্দা বরুঙ্গা কালাপানি লালটিলা এইসব এলাকাগুলোতে রাতে মানুষ ঘুমাতে পারে না ঢাক ঢোল পিটিয়ে মশাল জ্বালিয়ে হাতি তারাতে মানুষ রাতভর জেগে থাকে। বন্য হাতির আক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য মধুর টিলা রেন্স কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৭১ টাইমস নিউজকে জানান আমরা বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাতভর জেগে বন্য হাতি তাড়াতে এলাকার মানুষকে সহযোগিতা করতেছি। নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি যখনই খবর পাই যে পাহাড়ে বন্যহাতি আসছে আমি সাথে সাথে কিছু লোকজন নিয়ে হাতি তাড়াতে চলে যাই এবং মশার জ্বালানোর জন্য কেরোসিন তেল কিনে দেই। রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ খোরশেদ আলম খোকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বন্যহাতি মাঝেমধ্যে আক্রমণ করে তখন আমি গ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে বন্য হাতি তাড়াতে সক্ষম হই। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ বন্য হাতির আক্রমণ থেকে আবাদি ফসল গাছপালা ঘরবাড়ি এবং নিজেকে রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন।